একজন সুস্থ মানুষের হৃদ্যন্ত্র প্রতি মিনিটে পাঁচ–ছয় লিটার রক্ত সারা শরীরে পাম্প করে থাকে। সারাক্ষণ চলতে থাকা এই যন্ত্রটিও অসচেতনতা, অযত্ন আর অবহেলায় বিগড়ে যেতে পারে। হঠাৎ করেই একদিন দেখা দিল হৃদরোগ, এমনটা কিন্তু হয় না। দীর্ঘদিনের নানা অভ্যাসের কারণেই এই সমস্যা ধীরে ধীরে তৈরি হয়। যা হঠাৎ করে মারাত্মক হয়ে ওঠে। তাই দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাস বদলাতে পারলেই শরীর ও মন ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে সতেজ থাকবে হার্টও।
ব্যায়াম করা
প্রতিদিনকার ব্যায়াম হার্ট ভালো রাখার জন্য বেশ জরুরি। তাই ব্যায়ামকে অবহেলা করবেন না। হার্ট ভাল রাখার জন্য কার্ডিয়ো ব্যায়াম জরুরি। ছুটির দিন হলেও নিয়ম করে ব্যায়াম করলে হৃদরোগজনিত সমস্যা তৈরি হবে না।
ফলমূল খাওয়া
ফলমূল বেশি করে খাওয়া জরুরি। প্রতিদিনকার খিদে মেটাতে খাবারের তুলনায় ভরসা রাখুন ফলের ওপর। এতে খারাপ ফ্যাট, কোলেস্টেরল বা কার্বোহাইড্রেট শরীরে জমে না। ফলে হার্টের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। তবে হার্ট ফেইলিউরের সমস্যা থাকলে রসাল ফলমূল খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে
তেল-মসলাদার খাবার, ভাজাভুজি, রোজ রোজ রেস্তোরাঁর খাবার খাওয়া, প্রক্রিয়াত ও প্যাকেটজাত খাবার খাওয়া—রোজের খাবারে এই সব ভুলভ্রান্তি হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই খাদ্যতালিকায় হার্টের জন্য উপকারী খাবার যেমন শাকসবজি, সামুদ্রিক মাছ, অলিভ অয়েল বা শর্ষের তেল অর্থাৎ সুষম খাবার রাখা জরুরি।
পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে সহজে ঘুম আসবে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।
মিষ্টি এড়িয়ে যেতে হবে
মিষ্টি এড়িয়ে যাওয়ারই পরামর্শই দেন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে চিনি। কারণ চিনি নানান সমস্যার মূল। চিনি খাওয়া বন্ধ করার অভ্যাস করতে শুরু করলে, কয়েক দিন পরে আর তা খারাপ লাগবে না। আর চিনি যদি অন্তত দুই সপ্তাহের জন্যও বন্ধ করেন, তা হলেও তফাৎটা বুঝতে পারবেন। দেখবেন, মেদ কমছে ধীরে ধীরে। রক্তচাপের ওঠানামা কমছে। কারও উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে, তার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসে যাবে কিছু দিনেই।