শসা এমন একটি সবজি যেটা কাচা সালাদ হিসেবেই খাওয়া যায় ও খাওয়া হয়। এর পুষ্টিগুণ অনেক। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সহ শরীরের আরও অনেক কাজ করে শসা।
বিষাক্ততা দূর করে
শসায় যে পানি থাকে, তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে।
শরীর হাইড্রেড রাখে
শসাতে বেশিরভাগ অংশই পানি, তাই এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। গরমের সময়ে শসা আপনাকে বাজারের যেকোনো এনার্জি ড্রিংকের চেয়ে বেশি হাইড্রেট করতে পারে।
চুল ও নখ সতেজ করে
শসায় আছে খনিজ সিলিকা। এটি আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
শসাতে থাকা ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
নিয়মিত শসা খেলে ওজন কমে। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভব।
চোখের জ্যোতি বাড়ায়
চোখের কালো দাগ দূর করতে অনেকে শসা গোল করে কেটে চোখের পাতায় বসিয়ে রাখেন। এতে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা যেমন অপসারিত হয়, তেমনি চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে। চোখের প্রদাহপ্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে।
ত্বকের জন্য উপকারী
শসায় উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন আছে, যা ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এ জন্য ত্বকের পরিচর্যায় গোসলের সময় শসা ব্যবহার করা হয়।
গেঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়
শসার মধ্যে থাকা সিলিকা শরীরে জমা ইউরিক অ্যাসিড কমায়। এতে গেঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলেই উপকার পাবেন।