দুই বছর আগে বিশ্ব থমকে গিয়েছিল করোনা ভাইরাস মহামারিতে। এখনও যেন সেই রেশ কাটছেই না। নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টে হানা দিয়েছে। যা ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সংক্রমণের আতঙ্কে রয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোও।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের নাম হলো ফ্লার্ট। সম্প্রতি ওমিক্রন ভাইরাসে বেশ কয়েকটি নতুন ভ্যারিয়্যান্টের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে দুটি ভ্যারিয়েন্ট বেশি সংক্রমণাত্মক। এই দুটি হলো কেপি.২ ও কেপি১.১। এই সংক্রমণাত্মক ভাইরাসগুলোকে একসঙ্গে ফ্লার্ট বলা হয়। এগুলো ওমিক্রন ভাইরাসের থেকেও বেশি শক্তিশালী। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
ফ্লার্ট ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ
বিশেষজ্ঞরা জানান, করোনা বা ওমিক্রন ভাইরাসের লক্ষণে যা দেখা যেন তেমনটাই ফ্লার্ট ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণে হয়। গবেষণায় প্রমাণ হয়, ফ্লার্ট ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর কাশি, সর্দি, নাক থেকে পানি পড়া, গলা ব্যথা, প্রচণ্ড ক্লান্তিভাব, প্রচণ্ড জ্বর বা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, খাবারের স্বাদ না পাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। সেই সঙ্গে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।
ফ্লার্ট ভ্যারিয়েন্ট কতটা ভয়ঙ্কর
গবেষকরা জানান, নতুন এই ভ্যারিয়্যান্ট দ্রুত সংক্রমণ ঘটায়। কিন্তু এতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। এতে প্রাণহানির শঙ্কা কম। তাছাড়া করোনার টিকা এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধ করতে পারে। তাই এই ভাইরাস নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা কারণ নেই। তবে সতর্ক থাকা জরুরি।
সূত্র: এবিপি নিউজ