• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঠান্ডা না গরম দুধ, কোনটি খাবেন?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
ঠান্ডা না গরম দুধ, কোনটি খাবেন?
ছবি: সংগৃহীত

১ জুন শনিবার বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। দুধ এক ধরনের স্বয়ংসম্পূর্ণ খাবার। দুধে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি ১২ এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। শরীরের সুস্থতায় প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস করে দুধ পান করা উচিত বলে পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। তাদের মতে, শরীরে শক্তি জোগাতে এবং হাড় ও মাংসপেশি শক্ত করতে নিয়মিত দুধ পান করতে হয়। দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, পটাশিয়ামসহ নানা ধরনের পুষ্টিগুণ থাকে। তাই নিয়মিত দুধ পান করা জরুরি।

অনেকে ঠান্ডা দুধ খেতে পছন্দ করেন। আবার অনেকে গরম না করে দুধ পান করতেই পারেন না। কিন্তু ঠান্ডা কিংবা গরমে স্বাদের তারতম্য হলেও পুষ্টিগুণ কিন্তু একই থাকে।

পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা জানান, ঠান্ডা দুধ কিংবা গরম দুধ খাচ্ছেন দুটোই শরীরের জন্য উপকারী হবে। দুধ গরম নাকি ঠান্ডা অবস্থায় পান করবেন তা পুরোপুরি আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। গরমকালে ঠান্ডা দুধ পানে আরাম পাওয়া যায়। শরীর ঠান্ডা হয়। পরিপাকতন্ত্র ঠান্ডা থাকে। অন্যদিকে শীতের সময় গরম দুধ পান করা উচিত। এতে শরীর উষ্ণ থাকে। আবার ঠান্ডার রোগমুক্তি দেয়।

পুষ্টিবিদরা আরও জানান, গরম দুধ পানে হজমশক্তি ভালো হয়। পেট খারাপ ও গ্যাসের সমস্যা দূর হয়। রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই গরম দুধ পান করতে হবে। দুধে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিন ও মেলাটোনিনকে নিয়ন্ত্রণ করে। যা শরীরকে আরাম দেয় এবং ভালোভাবে বিশ্রাম হয়। অন্যদিকে ঠান্ডা দুধ পানে শরীর বেশি ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দূর হয়। এছাড়াও ঠান্ডা দুধে ইলেকট্রোলাইটস রয়েছে। যা শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। তবে  ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠান্ডা দুধ পান না করা যাবে না। হজমের গন্ডোগোল হতে পারে। এক্ষেত্রে সকালের নাস্তায় ঠান্ডা দুধ খেয়ে নিন। সারাদিনের জন্য় শক্তি পাওয়া যাবে।

 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Link copied!