• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শুধু সর্দি-কাশি নয়, ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণ করে লবঙ্গ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
শুধু সর্দি-কাশি নয়, ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণ করে লবঙ্গ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে লবঙ্গ। ছবি: সংগৃহীত

রান্নায় স্বাদ আনে ঝাঁঝ লবঙ্গ। ১ চামচ গুঁড়া লবঙ্গতে আছে ৬ ক্যালরি, ১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ গ্রাম ফাইবার, দৈনন্দিন চাহিদার ৩ শতাংশ ভিটামিন সি, ২ শতাংশ ভিটামিন কে এবং ৫৫ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ। এতে কিছু পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন ই–ও আছে। এ ছাড়া আছে সামান্য ক্যারোটিন পিগম্যান্ট, যা ভিটামিন এ–তে পরিণত হয়। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশেই এখনো ঔষধি উপাদান হিসেবে এর ব্যবহার করা হয়। গলা খুসখুস করলে মুখে লবঙ্গ রাখলে স্বস্থি পাওয়া যায়। লবঙ্গতে ব্যথা উপশমকারী উপাদানও আছে এতে। এছাড়াও আছে বহু গুণ।

দাঁতের নানা সমস্যার সমাধানে
লবঙ্গ দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির ক্ষয় নিরাময়ে বেশ কার্যকর। লবঙ্গের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে কিছু বিক্রিয়া করে নিমেষে দাঁতের যন্ত্রণা কমিয়ে দেয়। এছাড়া মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও সক্ষম।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
লবঙ্গের আর একটি উপাদান হল নাইজেরিসিন। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই উপাদানের জন্যই রক্ত থেকে শর্করা বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দেওয়া, ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলির কার্যক্ষমতা বাড়ানো ও ইনসুলিন নিঃসৃত হওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর মতো কাজ ভাল ভাবে হয়। তাই ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে লবঙ্গ ভাল কাজে দেয়।

সাইনোসাইটিসের সমস্যা দূর করে
যাদের ঘন ঘন মাথাব্যথা হয়, যাদের সাইনোসাইটিসের সমস্যা আছে তারা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে উপকার মিলবে। এছাড়া লবঙ্গের চাও পান করতে পারেন।

খাদ্যে বিষক্রিয়া সারাতে
অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অনেকেই মাঝেমধ্যে বিষক্রিয়ার সম্মুখীন হন। এ সময় লবঙ্গ খেলে দ্রুতই উপকার পাওয়া যায়। এতে বিদ্যমান ইউজেনল একটি শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য দায়ী ই কোলাই, স্টেপটোকক্কাস, স্ট্যাফিলোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া মারতে সহায়তা করে।

ক্যানসার প্রতিরোধে
লবঙ্গ অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের আধার। যা ভিটামিন ই–এর চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি কার্যকরভাবে শরীরে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ফলে হওয়া অক্সিডেটিভ ক্ষতি থামাতে পারে। অক্সিডেটিভ ক্ষতির কারণে ক্যানসার হয়ে থাকে।

হাড়ের চিকিৎসায়
লো বোন মাস বা হাড়ের কম ঘনত্ব এমন একটি অবস্থা, যা বয়স্কদের অস্টিওপরোসিস রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। লবঙ্গে থাকা ইউজেনল হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে এটি মজবুত করে থাকে। লবঙ্গে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা আর্থ্রাইটিসের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, জয়েন্টপেইন কমানোর পাশাপাশি হাঁটুতে, পেশির ব্যথা, পিঠে বা হাড়ের ব্যথা কমাতে এই ঘরোয়া ওষুধ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।এ ছাড়া লবঙ্গ ম্যাঙ্গানিজের উৎকৃষ্ট উৎস। ক্যালসিয়ামের মতো এটিও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী।

পাকস্থলীর আলসারের নিরাময়ে
সংক্রমণ, স্ট্রেস বা জিনগত কারণে পেপটিক আলসার বা স্টমাক আলসারের সমস্যা বাড়ে। লবঙ্গ দিয়ে তৈরি অ্যাসেনশিয়াল ওয়েল গ্যাসট্রিক মিউকাসের উৎপাদনে সাহায্য করে। এই মিউকাস পাকস্থলীকে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে ঢাল হিসেবে কাজ করে।

সতর্কতা
অনেকে অকারণেই মুখে লবঙ্গ রাখতে পছন্দ করেন। অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে বিষক্রিয়ার ভয় থাকে। অতিরিক্ত লবঙ্গ রক্ত পাতলা করে দেয়।

Link copied!