ছোট থেকে বড় অনেকেই ভোগেন দাঁতের যন্ত্রণায়। ছোট বেলায় দাঁত পড়ে নতুন দাঁত ওঠা। বড় হয়ে আক্কেল দাঁত, এরপর বয়স বাড়লে আবার সেই দাঁতগুলো পড়েও যায়। এই দীর্ঘ সময়ে দাঁতের ব্যথা বা যন্ত্রণা হয় না, এমন লোক একজনও খুঁজে পাওয়া কঠিন। নানান কারণেই দাঁতে ব্যথা হতে পারে। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে হঠাৎ অসময়ে দাঁতের ব্যথা শুরু হলে কি করবেন? এক্ষেত্রে কাজে দেবে ঘরোয়া কিছু উপায়। চলুন জেনে নেই-
লবঙ্গ তেল
লবঙ্গের গুণ অনেক। আর দাঁতের ব্যথা উপশমের জন্য বেশ জনপ্রিয় এবং কার্যকর প্রতিকারগুলোর মধ্যে একটি হলো লবঙ্গ তেল। ব্যথার জায়গায় লবঙ্গের তেলও লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে ব্যথা দূর হবে। আবার মুখের মধ্যে ব্যথার এলাকায় একটি লবঙ্গ দাঁতে চেপে রাখতে হয়। এই লবঙ্গের রসে সেখানকার সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়ার মৃত্যু হয়। লবঙ্গে রয়েছে ইউজেনল, যা একটি প্রাকৃতিক চেতনানাশক এবং একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট যা ব্যথা এবং প্রদাহ কমানোর প্রবণতা রাখে।
লবণ পানিতে গার্গল
লবণ হলো প্রাকৃতিক মাউথওয়াশ, এটি দাঁতের মধ্যে জমে থাকা নোংরা জীবাণুকে ধ্বংস করে, গরম পানিতে ১ থেকে ২ চামচ লবণ মিশিয়ে মুখ কুলকুচি করে নিতে পারেন। এতে মুহূর্তেই মিলবে স্বস্তি।
রসুন
বহুগুণে ভরপুর রসুন এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক বেশি। আর দাঁত ব্যথা কমাতে রসুনের জুড়ি নেই। চিবিয়ে খেতে ভালো না লাগলে রসুনের কোয়া ব্যথায় আক্রান্ত দাঁতে চেপে ধরে রাখুন। রসুন ব্যথা কমায় এবং মৌখিক গহ্বরের ধ্বংসাত্মক অণুজীবকে মেরে ফেলে।
পুদিনা
পুদিনা পাতায় অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে, যা ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। পুদিনা পাতার রসে তুলো ভিজিয়ে মাড়িতে লাগান, আক্কেল দাঁতের ব্যথায় আরাম পাবেন। গরম গরম পুদিনা পাতা দেওয়া চা পান করলেও সুফল মিলবে।
আইস প্যাক
ঠান্ডা প্রয়োগ ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর। একটি পরিষ্কার কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে কিছু বরফের টুকরো মুড়ে নিন। তারপর এটি ব্যথার জায়গায় ধরুন। এটি নির্দিষ্ট দাঁতের মধ্যে রক্তনালীকে সংকুচিত করে, যার ফলে ব্যথা উপশম হয় বা ফোলাভাব হ্রাস পায়। এটি দাঁতের ব্যথার জন্য খুব দ্রুত প্রতিকার হিসেবে কাজ করে।