ডায়াবেটিস এখন সাধারণ রোগ। প্রতি ঘরে অন্তত একজন ডায়াবেটিস রোগী পাওয়া যায়। বয়স্করা তো বটেই, ছোট্ট শিশুদেরও ডায়াবেটিস রোগ হওয়া এখন সাধারণ ঘটনা। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গেলেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। তাই ডায়াবেটিস হওয়া মানে মিষ্টির সঙ্গে চিরতরে বিচ্ছেদ।
মিষ্টির সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও চকলেট খেতে বাধা নেই। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনই খুশির খবর জানা গেছে। চকলেট খেতে কে না পছন্দ করে। আর কোনো বাধা ছাড়াই চকলেট খাওয়া যাবে এটাতো সত্যিই খুশির খবর।
গবেষণায় জানা যায়, ডায়াবেটিসের রোগীরা অনায়াসেই চকলেট খেতে পারেন। তবে তা অবশ্যই হতে হবে ডার্ক চকলেট।
গবেষকরা জানান, ডার্ক চকলেট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে পারে। নিয়ম করে ডার্ক চকলেট খেলে আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
পুষ্টিবিদরা জানান, হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে ডার্ক চকলেট। রোজ দুই টুকরো ডার্ক চকলেট খেলে এই উপকার পাওয়া যাবে। এটি রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
ডার্ক চকলেটে থাকে কোকো। গবেষকরা জানান, এই কোকো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এর মধ্যে ভরপুর মাত্রায় ফ্ল্যাভনয়েড থাকে।, যা মস্তিষ্কে রক্তের সঞ্চালন বাড়ায়। শরীর-মন চাঙা হয়ে ওঠে। চিন্তাশক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও দীর্ঘ দিন স্মৃতিশক্তি অটুট রাখতে ডার্ক চকলেটের জুড়ি নেই।
গবেষকরা আরো জানান, ডার্ক চকলেট খেলে ধমনীতে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয়। যা মস্তিষ্ক ধমনীকে কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়ার বার্তা পাঠায়। এতে রক্ত চলাচল সহজ হয়। সেই সঙ্গে কমে রক্তচাপও।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, নারীরা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিয়মিত ডার্ক চকলেট খেলে মানসিক ভাবে চাপমুক্ত থাকে।
যারা বার্ধক্যের প্রভাব কমাতে চান তারাও ডার্ক চকলেট নিয়মিত খেতে পারেন। এটি অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। গবেষকরা জানান, ডার্ক চকলেটে বায়োঅ্যাক্টিভ পদার্থ থাকে। যা ত্বকের জন্য উপকারী। এছাড়াও ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে ত্বক উজ্জ্বল করতেও খেতে পারেন ডার্ক চকলেট।
তবে এ ক্ষেত্রে অন্তত পক্ষে ৭০ শতাংশ ডার্ক চকলেট খাওয়াই বিধেয় বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
সূত্র : আনন্দবাজার