বর্তমান সময়ে অনেকেই স্বাস্থ্য নিয়ে বেশ সচেতন। মানুষ পুষ্টিগুণ বিবেচনায় রেখে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করে। সে কারণে দিনে দিনে আমাদের চিয়া সিড খাওয়ার প্রচলন বাড়ছে। এই বিদেশি শস্য এখন বাংলাদেশেও চাষ হচ্ছে। মূলত মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোর মরুভূমি অঞ্চলে বেশি জন্মায়। এগুলো দেখতে অনেকটা তোকমা দানার মতো। চিয়া বীজ সাদা ও কালো রঙের এবং তিলের মতো ছোট আকারের।
এতে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক এসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ। আর কয়েকদিন খেলেই এই বীজের উপকারিতা অনুধাবন করা সম্ভব। টানা খেলে ৭ দিনেই লক্ষণীয় পরিবর্তন চোখে পড়বে।
- বীজ জাতীয় খাদ্যের মধ্যে চিয়া সিডকে বলা হয় সুপারফুড। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই খাবার শুরু করার আগে ওজন মাপুন। এক সপ্তাহ টানা খাওয়ার পর আবার মাপুন। দেখবেন, ওজন কিছুটা কমেছে। চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যার কারণে ২ চা–চামচ চিয়া সিড খেলে তা পরবর্তী ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা আপনার পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেবে। সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিলে পেটের বাড়তি মেদও কমাবে।
- চিয়া সিডে আছে ওমেগা-৩, যা হৃদরোগের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।
- চিয়া সিড শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হতে সাহায্য করে,গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এক সপ্তাহ’র মধ্যেই এর ফল দেখতে পাবেন যদি নিয়ম মেনে চিয়া সিড খেতে পারেন।
- চিয়া সিড রক্তে শর্করা স্বাভাবিক রাখে, যা ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। ফল পেতে নিয়ম মেনে চিয়া সিড খেতে হবে।
- যাদের ঘুমের সমস্যা তারা চিয়া সিড খেতে পারেন। কয়েক দিন খেলেই ফল পাবেন। কারণ ভালো ঘুম হতেও সাহায্য করে চিয়া সিড।
- চিয়া সিড ক্যালসিয়াম–সমৃদ্ধ খাবার। মাত্র ১ আউন্স চিয়া সিডে ১৮০ মাইক্রোগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। চিয়া সিডের ম্যাগনেশিয়াম আর ফসফরাসও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকরী। হাড় ছাড়াও অপটিমাল মাসল ও স্নায়ু ভালো রাখে চিয়া সিড।
কীভাবে খাবেন
খালি পেটে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস পানির মধ্যে ২ চা চামচ চিয়া সিড খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। দিনে অন্তত ২ চামচ (১০ গ্রাম) খেতে পারেন। সঙ্গে লেবুর রস ও মধু যোগ করতে পারেন। দই, সিরিয়াল বা সালাদের মতো খাবার, স্মুদি বা স্যুপে এক ঘণ্টা আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখা চিয়া সিড যোগ করে খেতে পারেন।