দিন দিন ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে। মাঝে মধ্যেই ঢাকা বায়ুদূষণে শীর্ষে থাকে। আর শুধু ঢাকা না বাংলাদেশের ৫৪টি জেলারই বায়ুর মান আদর্শ মাত্রার চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে। আর এই অতিরিক্ত বায়ুদূষণের খুব খারাপ প্রভাব মানুষের শরীরে নানা ভাবে পরে। যার কারণে এসময় অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসের নানা সমস্যা হয়ে থাকে। তাছাড়া বায়ু দূষণের এই প্রভাব প্রজনন স্বাস্থ্যে ওপর পড়ে। খারাপ প্রভাব পড়ে চোখের ওপরও। তবে জানেন কী, দেশে বায়ু দূষণ এভাবে বাড়ছে কেন? চলুন জেনে নেই, বায়ু দূষণের কারণগুলো কী কী-
- বায়ুদূষণের জন্য প্রধান যে কারণ গুলো দায়ী তার একটি হলো অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজ। দেশের কয়েকটা শহরে বিশেষ করে ঢাকা, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জে নানা সময় উন্নয়নমূলক কাজ চলমান থাকে। যার প্রভাব পড়ে বায়ুতে। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত সমন্বয়হীন সংস্কার কাজ ও রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতেও বায়ুদূষণ বেড়ে যায়।
- ঢাকাসহ ঢাকার আশেপাশে ছোট-বড় কয়েক হাজার শিল্প কারখানা আছে। আর দেশের বায়ুদূষণের ৫০ শতাংশেরও বেশি ঘটে শিল্পকারখানা থেকে। এসব কারখানা থেকে যে পদার্থ বিশেষ করে কার্বন মনো অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড বের হয় সেগুলো বায়ুকে দূষিত করে। শীতকালে বাতাসের গতি কমে যায়। যার কারণে বায়ুতে এসব যৌগ দীর্ঘ সময় থেকে যায়।
- দেশে বায়ুদূষণের জন্য সনাতন পদ্ধতিতে পরিচালিত ইটভাটাকে দায়ী করা হয়। কারণ সনাতন পদ্ধতিতে যেসব ইটভাটা চলে এগুলোতে জ্বালানি হিসেবে কয়লা, কাঠ ব্যবহার করা হয়। ফলে এটা থেকে প্রচুর ছাই তৈরি হয় এবং কার্বন মনোঅক্সাইড, সালফার অক্সাইড ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের মতো দূষিত কণা বাতাসের সাথে মেশে।
- ঢাকায় এখন কমপক্ষে সাড়ে চার হাজার বাস চলছে। এর মধ্যে অনেক গাড়িতেই ফিটনেস থাকে না এমনকি অর্থনৈতিক আয়ুষ্কালও থাকে না। আর যদি কোনো যানবাহনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে যায় তাহলে সেগুলো ঠিকভাবে জ্বালানি পোড়াতে পারে না এবং তখন সেগুলোর ধোঁয়ার সাথে ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্গত হয়। যার কারণে বায়ু দূষণ ঘটায়।