• ঢাকা
  • বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মোবাইল ফোন, চিপস, গরুর দুধসহ যেসব কারণে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম
মোবাইল ফোন, চিপস, গরুর দুধসহ যেসব কারণে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়
ছবি : সংগৃহীত

মায়েদের একটি সাধারণ অভিযোগ, শিশুরা খেতে চায় না। মনে রাখবেন, শিশুদের খেতে না চাওয়ার অন্যতম একটা কারণ কোষ্ঠকাঠিন্য। অনেক সময় শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য মায়েরা টের পান না। দেখা যায়, পায়খানা নরম হলেও অনেক সময় তা পুরোপুরি পরিষ্কারভাবে না হওয়ার কারণে শিশুদের পেট ফাঁপা থাকে। অরুচি দেখা দেয়। অনেক সময় মায়েরা লক্ষও করেন না, শিশুরা কী ধরনের পায়খানা করছে। অন্য অনেক সমস্যার মধ্যে এ সমস্যাটি নজরে পড়ে না।

প্রথমে জানতে হবে কোষ্ঠকাঠিন্য বলতে আসলে আমরা কী বুঝি। কোনো শিশু যদি সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করে, মলত্যাগের সময় যদি পেট ব্যথা করে, শক্ত মলের সঙ্গে যদি রক্ত দেখা যায়, শিশুর প্যান্টের সঙ্গে যদি তরল মলের দাগ থাকে, তবে বুঝবেন তার কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে।

যেসব কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে
১. কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ ভুল জীবনযাপন। শিশুদের পর্যাপ্ত হাঁটাচলা বা খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা।
২. দিনের অনেকটা সময় এখন টিভি বা মুঠোফোনে কাটায় শিশুরা। এই অচলতা কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি করে।
৩. প্রচুর পরিমাণে ফাস্ট ফুড, চিপস ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস। শাকসবজি, ফলমূল এবং পানি কম খাওয়া।
৪. স্কুলে পর্যাপ্ত পরিমাণ টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকা। এ কারণে অনেক সময় শিশুরা মল আটকে রাখে।
৫. যেসব শিশু গরুর দুধ বেশি খায়, তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। বংশানুক্রমিক কারণেও শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
৬. শিশুদের নির্দিষ্ট কিছু রোগ, যেমন নিউরোলজিক্যাল ডিজিজ, এনাল ফিশার, কার্সপ্রাঙ্গ ডিজিজের কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

সমাধান
১. শিশুদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনপ্রণালির পরিবর্তন আনতে হবে। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত সবজি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একটি প্লেটের অর্ধেক সবজি দিয়ে সাজাতে হবে। রঙিন ফলমূলের পরিমাণ খাদ্যতালিকায় বাড়াতে হবে।
২. ফলের জুসের পরিবর্তে ফলমূল খাওয়া উপকারী।
৩. শিশু পর্যাপ্ত পানি পান করছে কি না, খেয়াল করুন।
৪. শিশু যেন নির্দিষ্ট সময়ে টয়লেট ব্যবহার করে, সেই অভ্যাস গড়ে তুলুন। সে জন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে তাকে কমোডে ১৫ মিনিট বসিয়ে রাখতে হবে। সে মল ত্যাগ করুক আর না করুক।
৫. দৈনিক খেলাধুলা করার সুযোগ করে দিতে হবে। শিশুকে এ ক্ষেত্রে সাঁতার, কারাতে বা অন্যান্য খেলায় উৎসাহিত করা যেতে পারে।
৬. স্কুলে পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, কোষ্ঠকাঠিন্য ভবিষ্যতে নানা রোগব্যাধির জন্ম দিতে পারে। 

সূত্র : প্রথম আলো

Link copied!