শীত মানেই নানা রঙের সবজি। এসব সবজির মধ্যে অন্যতম ফুলকপি। জনপ্রিয় এই সবজি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। ফুলকপির তরকারি, ভাজা বেশ বহুল পরিচিত। আবার ফুলকপির ঝাল ঝাল পাকোড়া খেতেও অনেকে পছন্দ করেন। কেউ কেউ এই সবজি দিয়ে কোরমাও বানায়। এছাড়া লুচির সঙ্গে ফুলকপির তরকারি দুই বাংলাতেই বেশ জনপ্রিয়।
অত্যন্ত সুস্বাদু এই ফুলকপিতে এতে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেলস। এ ছাড়া রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ত্বক ও চোখের জন্যও উপকারী এই সবজি। তবে ফুলকপির এতো গুণ থাকলেও এটি সবার জন্য উপকারী না। কিছু কিছু মানুষের জন্য এটি খাওয়া মানা।
কাদের খাওয়া মানা
গলগন্ড ও হাইপোথাইরয়েডিজম আছে যাদের তাদের ফুলকপি খাওয়া মানা। হাইপোথাইরয়েডিজম হল এমন একটি অবস্থা যেখানে, থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত হরমোন উৎপাদন করে না। যাদের গলগন্ড ও হাইপোথাইরয়েডিজম আছে তাদের থাইরয়েডের আয়োডিন ব্যবহার করার ক্ষমতাকে ফুলকপি বাধা দিতে পারে। তাই তাদের ফুলকপি খাওয়া মানা। বিশেষ করে, সালাদ হিসেবে খাওয়া যাবে না। তবে যদি খেতেই চান তাহলে অন্যান্য সবজির সঙ্গে সামান্য পরিমাণে।
যাদের পিত্তথলি বা কিডনিতে পাথর থাকে, তাদের ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফুলকপি খাওয়া মানা।
আর ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে ফুলকপি এড়িয়ে চলতে হয়।