• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে করলার জুস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে করলার জুস
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে করলার জুস। ছবি: সংগৃহীত

করলার তেতো স্বাদ অনেকেরেই অপছন্দ। গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে তেতো খাবারের জুড়ি নেই। স্বাদে যত তেতো হোক না কেন, উপকারিতায় কিন্তু অনন্য। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে এবং আমাদের শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে এই সবজি।

করলা ভাজি বা তরকারি খাওয়ার পাশাপাশি করলার রস অর্থাৎ জুসও খাওয়া হয়ে থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধান থেকে শুরু করে আরও অনেক কাজে আসে এই রস। চলুন জেনে নিন, কেন খাবেন করলার জুস-

  • যাদের ব্লাড সুগার লেভেল বর্ডারলাইনে বা তার উপরে তারা ২০ মিলি করলার রস এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। করলায় থাকা পলিপেপটাইড পি এবং চারেন্টিন নামের যৌগ শরীরে ইনসুলিন ও গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে দেয় দ্রুত। তাই যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা করলার জুস খেতে পারেন। তবে নিয়মিত খাওয়া যাবে না, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া যেতে পারে।  
  • সকালে করলার রস খেলে পেট পরিষ্কার হয় এবং হজম শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও অনেক কার্যকরী এটি। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানে করলার জুস খাওয়া যেতে পারে।
  • অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট করলার জুস একটি চমৎকার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ নষ্ট করার জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জরুরি। একই সঙ্গে এটি শরীরের কোষ পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। যারা ধূমপান করে তাদের জন্য করলার জুস সেরা ঔষধ। এই জুস শরীরের নিকোটিনের পরিমান কমায়।
  • পানির সঙ্গে মধু ও করলার রস মিশিয়ে খেলে অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস, শ্বাসরোগ ও গলার প্রদাহে উপকার পাওয়া যায়।
  • করলার রসের সঙ্গে পাতিলেবুর রস ও মধু মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন। লিভার ভালো থাকবে। পাশাপাশি শুষ্ক ত্বকের সমস্যাও দূর হবে।
  • করলার জুসে থাকা ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা  বাড়ায় এবং বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিহত করে।
  • করলার রসে থাকা ভিটামিন সি ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। এই রসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চর্মরোগ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
  • করলার জুসে থাকা বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

যেভাবে বানাবেন
গাঢ় সবুজ রঙের কাঁচা করলা নিয়ে টুকরো করে কাটতে হবে। বিজ গুলো ফেলে টুকরো করা করলা ব্লেন্ডারে জুস তৈরি করে নিতে হবে। ছাকনির সাহায্যে রস আলাদা করে নিয়ে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য লেবুর রস বা মধু যোগ করতে পারেন।

Link copied!