শীত আসি আসি করছে। এমন সময় পুরোপুরি ঠান্ডাও না আবার গরম ও না। আবহাওয়া দিনে এক রাতে আবার আরেক। দিনে বেশ গরম থাকলেও রাতে কমে আসে। ফ্যান বন্ধ রাখলেও সমস্যা, চললেও সমস্যা। এমন আবহাওয়ায় শিশুরা বার বার অসুস্থ হয়। তাই এই সময় শিশুর প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
- শিশুকে ঠান্ডা পরিবেশে রাখা যাবে না। সবসময় জামাকাপড় পরিয়ে রাখতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত জামা পরানো যাবে না।
- যেসব শিশু হামাগুড়ি দেয় তাদের জন্য ফ্লোরে মাদুর বিছিয়ে দিন। ঠান্ডার মধ্যে শিশুর হামাগুড়ি দেওয়া ঠিক না। তবে কার্পেট না দেওয়াই ভালো। কারণ কার্পেটের ধুলা শিশুর অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
- প্রতিদিন শিশুকে গোসল করাবেন তবে ঠান্ডা পানিতে না, উষ্ণ পানি দিয়ে।
- এসময়ের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে। তাই অনেকেই শিশুকে তেল মালিশ করেন। তা করা যাবে না। গোসলের পর বেবি লোশন লাগাবেন।
- আবহাওয়া ঠান্ডা ভেবে শিশুকে গরম জামা কাপড় পরাবেন না। এতে ঘেমে শিশুর আরও ক্ষতি হতে পারে। তাই শিশুকে ভারী জামা না পরিয়ে ফুলহাতা জামা পরান। তবে খেয়াল রাখতে হবে শিশু যাতে না ঘেমে যায়।
- এক বছরের কম বয়সী শিশুকে বুকের দুধ নিয়মিত খাওয়াতে হবে। যদি ফিডারে খাওয়ান তাহলে উষ্ণ গরম করে খাওয়াতে হবে। তবে বুকের দুধ গরম করা যাবে না। উষ্ণ পানির মধ্যে দুধের বোতল ডুবিয়ে রেখে তাপমাত্রা স্বাভাবিক করে নিতে হবে।
- শিশুর বয়স ছয় মাস হলেই তাকে মায়ের বুকের দুধের সঙ্গে অন্য খাবার খেতে দিতে হবে। ধীরে ধীরে ডিমের সঙ্গে পরিচয় করাতে হবে। নিয়মিত নানান রকম শাক-সবজি দিতে হবে। অল্প অল্প করে মৌসুমী ফলমূল খেতে দিতে হবে। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।