• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩০, ১৪ রজব ১৪৪৬

দুধ সহ্য হচ্ছে না? কীভাবে বুঝবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
দুধ সহ্য হচ্ছে না? কীভাবে বুঝবেন
সূত্র: সংগৃহীত

দুধ শরীরে পুষ্টির যোগান দেয়। ছোট থেকেই দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। গরুর দুধে বা কৌটোজাত দুধ খায় শিশুরা। অনেক শিশুর তা সহ্য হয়ে যায়। আবার অনেক শিশুর ক্ষেত্রে দুধ পান অস্বস্তিকর হয়। শুধু শিশুদের ক্ষেত্রেই নয়, বড়দের জন্যও দুধ পান অস্বস্তিকর হতে পারে। পুষ্টিগুণে ভরপুর দুধ পান করলেই কোনো গন্ডোগোল দেখা দেয়। এদের বলা হয় ল্যাকটোজ় ইনটলারেন্ট।

বিশেষজ্ঞরা জানান,  দুধে ‘ল্যাকটোজ়’ থাকে। এটি হজম করার জন্য বিশেষ ধরনের উৎসেচকের প্রয়োজন হয়। যার নামই হচ্ছে ‘ল্যাকটেজ’। মানুষের শরীরেই এই উৎসেচক উৎপন্ন হয়। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এই উৎসেচক উৎপাদনের হার কম থাকে। যার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই উৎসেচক উৎপন্ন হয় না। তাদের দুধে থাকা ল্যাকটোজ নামক শর্করাটি হজম হয় না। তখনই শুরু হয় গন্ডোগোল। এমন অবস্থায় দুধের তৈরি খাবারও সহ্য হয় না।

কীভাবে বুঝবেন, দুধ সহ্য হচ্ছে না? এরও কিছু লক্ষণ রয়েছে। যা দেখা দিলেই বুঝতে হবে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার দ্রুত বন্ধ করা দরকার।

·         বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রথমেই খেয়াল রাখুন, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেলেই শরীরে কোনো অস্বস্তি হচ্ছে কিনা।  পেটফাঁপা, হজমের সমস্যা, কিংবা পেটে ব্যথা হয় কিনা। যদি এমনটা হয় তবে দুধ পান বাদ দিয়ে দেখুন। স্বাভাবিক মনে হলে, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া বাদ দিন।

·         অনেকের দুধ বা দুধের তৈরি খাবার খেলে পেটখারাপ বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়। দুধের থাকা কোনও উপাদান হজম না হলে এমনটা হতে পারে। তাই দুধ পান করা থেকে বিরত থাকুন।

·         দুধ হজমে সমস্যা হলে মুখে ব্রণ, অ্যালার্জির মতো সমস্যাও হতে পারে। দুধ সহ্য না হলেই পেট তা জানান দেবে। কারণ লিভারের উপর এর প্রভাব পড়ৌ। তাই মুখে ব্রণ দেখা দেয়। এমন অবস্থায় দুধ পানে সতর্ক হোন।

·         দুধ বা দুধের খাবার খেলে কী বমি ভাব হচ্ছে? তবে এখনই সতর্ক হোন। সকালে কিংবা বিকেলে দুধ চা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তাও বাদ দিন।

যা করতে হবে

বিশেষজ্ঞরা জানান, দুধ খেলে শরীরে পেটের সমস্যা ছাড়াও মাথা ব্যথা, গ্যাস-অম্বল হচ্ছে তা হলে সেটি বাদ দিন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দুধে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এ-সহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে। অন্যান্য খাবার থেকে সেই পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

Link copied!