আনার, বেদানা বা ডালিম—যে নামেই ডাকুন না কেন, কম-বেশি সবারই পছন্দের ফল। ডালিমের খোসা ছাড়িয়ে প্রতিটি দানা বের করা খানিকটা শ্রমসাধ্য ও ধৈর্যের ব্যাপার বটে। তবে এর পুষ্টিগুণের কথা বিবেচনা করলে হয়তো ভাববেন, এতটুকু শ্রম দেওয়াই যায়। সংক্রমণ প্রতিরোধ, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, রক্তচাপ বশে রাখার মতো উপকারিতা আছে ডালিমে।
গবেষকেরা পুষ্টি বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, এক বাটি (১৪৪ গ্রাম) ডালিমে ৯৩ ক্যালরি শক্তি, ২ দশমিক ৩০ গ্রাম প্রোটিন, ২০ দশমিক ৮৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ০ দশমিক ১৪ গ্রাম ফ্যাট থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন ডালিম খেলে কী কী উপকার পেতে পারেন।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনলিক যৌগের সমৃদ্ধ উৎস ডালিম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ডালিম খেলে।
- ডালিমের যৌগগুলোতে ক্যানসার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি টিউমারের বৃদ্ধিকে ধীর করে দিতে পারে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগীদের জন্য দালিম বেশ উপকারী ফল। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ওপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিমের রস পান করলে বুকে ব্যথার তীব্রতা হ্রাস পায়। একই সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যের ওপর প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে ফলটি।
- প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায় ডালিম থেকে। রক্তশূন্যতা রোধ করতে ডালিম খেতে পারেন প্রতিদিন।
- ২০১৪ সালের এক গবেষণায বলছে, ডালিমের নির্যাস রক্তে অক্সালেট, ক্যালসিয়াম এবং ফসফেটের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। এতে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।
- ডালিমে এমন যৌগ রয়েছে যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে মুখের জীবাণু যা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ এবং দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টি করতে পারে।
- ডালিমের নির্যাস ক্লান্তি দূর করে ও কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
- ডালিমে রয়েছে এলাজিটানিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- মস্তিষ্ক ভালো রাখে ডালিম। আলঝেইমার এবং পারকিনসন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে ফলটি।
- ফাইবার সমৃদ্ধ ডালিম হজমের গণ্ডগোল দূর করতে পারে।