ছোলার পুষ্টিগুণের কথা কমবেশি সবারই জানা। কিন্তু অনেকেই জানেন না, ছোলায় থাকা নানান উপাদান শরীরে কত ধরনের উপকার করে। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় থাকে প্রায় ১৭ গ্রাম প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট থাকে প্রায় ৬৪ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ৫ গ্রাম।
এ ছাড়া ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’ প্রায় ১৯২ মাইক্রোগ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১ ও বি২ থাকে। ছোলায় বিভিন্ন প্রকার খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসও রয়েছে। এসব উপাদান শরীরের জন্য অনেক উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক ছোলার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
- কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে আদার সঙ্গে খেলে শরীরে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়।
- গবেষকরা বলছেন, ছোলাতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় আঁশ রয়েছে। এই আঁশ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। আঁশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- ছোলায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্সেরপরিমাণ কম থাকায় এটি খাওয়ার পর শরীরের অস্থির ভাব দূর হয়। যদি দেহের মধ্যে অস্থিরতা অনুভব হয়, তাহলে ছোলা খেয়ে নিতে পারেন।
- ছোলা খাদ্যনালিতে ক্ষতিকারক জীবাণু দূর করে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা কমায়।
- প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। এর সবই শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- ছোলার ফ্যাট শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। বরং রক্তের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
- ছোলা অল্প সময়েই হজম হয়ে যায়। ছোলার আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
- ছোলায় অনেক পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও বেশ কার্যকরী। এ ছাড়া এই শস্য বয়ঃসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্ট ভালো রাখতেও সাহায্য করে।
- প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকায় এটি দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে শক্তির জোগান দেয়।
- শ্বাসনালিতে জমে থাকা পুরোনো কাশি বা কফ ভালো হওয়ার জন্য কাজ করে শুকনা ছোলা ভাজা।
- ছোলায় থাকা ফলিক অ্যাসিড রক্তের অ্যালার্জির পরিমাণ কমিয়ে অ্যাজমার প্রকোপও কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে মেরুদণ্ডের ব্যথাও দূর করে।
- ছোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি আমিষের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। এতে আমিষ মাংস বা মাছের পরিমাণের প্রায় সমান। তাই খাদ্যতালিকায় ছোলা থাকলে মাছ-মাংসের প্রয়োজন হয় না।