বিদেশী ফল হলেও চেরি আমাদের দেশেও বেশ পরিচিত। এটি দেখতে বেশ আকর্ষনীয়। সালাদ, সবজি বা যেকোনো মুখরোচক ডেজার্টের সঙ্গে এটি বেশ মানিয়ে যায়। অত্যন্ত সুস্বাদু ফল চেরি পুষ্টিগুণে ভরপুর। রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠা নামা করলে বিশেষজ্ঞরা চেরি খাওয়ার পরামর্শ দেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক চেরি ফলের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণের কথা-
চেরির পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম চেরিতে রয়েছে ৬৩ গ্রাম ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ১৬ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ৪ গ্রাম ফোলেট, ভিটামিন সি ৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন কে ২ গ্রাম, পটাশিয়াম ২২২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২১ মিলিগ্রাম। চেরিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্থোসায়ানিন ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ করে
চেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। উজ্জ্বল লাল রঙ হওয়ার কারণে অ্যান্থোসায়ানিন চেরিতে প্রাকৃতিকভাবেই থাকে। ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং আঙ্গুরেও অ্যান্থোসায়ানিন থাকে। চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে বেশ কার্যকরী। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধেও বিশেষ ভুমিকা রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
চেরি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল। দশটি চেরিতে প্রায় 1.4 গ্রাম ফাইবার থাকে। ফাইবার হজমে বিলম্ব ঘটায়,যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় না।
এটি ওজন কমাতেও চমৎকার কাজ করে।
ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
চেরির গ্লাইসেমিক ও কার্বোহাইড্রেটের মাত্রাও খুব কম। এক কাপ চেরিতে মাত্র ১৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। গ্লাইসেমিক সূচক হল খাদ্যে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা নির্ধারণকারী একটি সূচক। যাতে কোন খাবার কীভাবে রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা প্রভাবিত করে তা নির্ণয় করা যায়।
যে খাবারের জিআই মান ৫৫ এর কম, সেই খাবার সহজেই হজম হয় এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা খুবই ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করে। কম জিআই খাবার ডায়াবেটিকদের জন্য সবচেয়ে ভালো। আর চেরি এক্ষেত্রে বেশ উপকারী।