অশ্বগন্ধা হলো একটি ঔষধি ভেষজ, যা হাজার হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি আমাদের শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে। সমীক্ষা অনুসারে, অশ্বগন্ধায় প্রদাহবিরোধী, অ্যান্টি-অক্সিডাইজিং, অ্যান্টি-স্ট্রেস, ঘুম-প্ররোচিত এবং ওষুধ প্রত্যাহার করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
অশ্বগন্ধা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। একটি গবেষণা অনুসারে, অশ্বগন্ধার শিকড় এবং পাতায় পাওয়া ফ্ল্যাভোনয়েড ডায়াবেটিস নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। যা রক্তে শর্করার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে এটি।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
অশ্বগন্ধার শিকড়, প্রদাহরোধী এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার জন্য ভালো। এটি হৃৎপিণ্ডের পেশিকে শক্তিশালী করে এবং কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণ করে। ওয়ার্ল্ড জার্নাল অব মেডিকেল সায়েন্সেস দ্বারা প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, এতে হাইপোলিপিডেমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ উপশম করে
অশ্বগন্ধার নির্যাশ শরীরে কর্টিসলের মাত্রা কমাতে কাজ করে এবং এইভাবে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-স্ট্রেস বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত করে। ঐতিহ্যগতভাবে এটি একজন ব্যক্তির জন্য একটি প্রশান্তিদায়ক এবং শান্ত প্রভাব প্রদান করতে পারে। ইন্ডিয়ান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে অশ্বগন্ধার ভেষজ নির্যাস দিয়ে চিকিত্সা করা হলে বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ কমানো যায়।
দুশ্চিন্তা দূর করে
অশ্বগন্ধা দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদে এটি শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যেও ব্যবহৃত হয়। প্রায় ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে।
বাত উপশম করে
অশ্বগন্ধা একটি ব্যথা উপশমকারী ওষুধ হিসেবে পরিচিত, যা স্নায়ুতন্ত্রে ব্যথা ও সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে। এ ছাড়া এর কিছু অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। সেই কারণে, কিছু গবেষণায় এটি বিভিন্ন ধরনের আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
অশ্বগন্ধা সেবনের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অশ্বগন্ধা ক্যাপসুল লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং প্লাটিলেট বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।