শীতে শিশুর ত্বকের যত্নে অনেক বেশি সচেতন থাকা উচিত। কারণ বড়দের চেয়ে শিশুর ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে শিশুর ত্বকের পরিচর্যায় কী কী করবেন-
শীতে শিশুর গোসল
শীতকালে শিশুকে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। কারণ ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করালে ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। শিশুর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ও ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করতে গোসলে ব্যবহার করুন কুসুম গরম পানি। তবে শীতকালে ২ বছরের কম বয়সী শিশুকে প্রতিদিন গোসল করানোর প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে একদিন পর পর গোসল করালেই ত্বক ভালো থাকবে।
শিশুর ত্বকের উপযোগী সাবান
শিশুর গায়ে সাবান ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তাদের ত্বক বড়দের তুলনায় অনেকগুণ পাতলা হয়। আর সাবান দিয়ে গোসল করালে তা যেন ময়েশ্চারসমৃদ্ধ ও শিশুর ত্বকের উপযোগী হয়। যে সাবানের পিএইচ মাত্রা ও শিশুর ত্বকের পিএইচ মাত্রার সমান, সে রকম সাবান তাদের ত্বকের জন্য উপযোগী।
শিশুর ত্বক উপযোগী তেল
শিশুদের দেহে তেলের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে। সব ধরনের তেল শিশুদের জন্য উপযোগী নয়। তবে মাথার ত্বকে এক্সট্রা ভার্জিন গ্রেড নারকেল তেল অল্প পরিমাণে ব্যবহার করতে পারেন।
তাছাড়া শিশুকে নিয়মিত অলিভ অয়েল দিয়ে মাসাজ করতে পারেন। শীতে শিশুর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে অনেক কার্যকরী উপাদান হোয়াইট সফট প্যারাফিন বা ফসপোলিপিড সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার শিশুর ত্বকের জন্য উপকারী। এছাড়া অলিভ অয়েল মেখেও গোসল করাতে পারেন।
সবচেয়ে ভালো হয়, যদি লিনোলেইক অ্যাসিড-সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করা যায়। এটি এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকের সুরক্ষা দেয়। সূর্যমুখী তেলে এই উপাদান বেশি থাকে।
শীতে শিশুর পোশাক
শিশুর কাপড় সাবান দিয়ে ধোয়ার পর পরিষ্কার পানিতে বারবার চুবিয়ে সম্পূর্ণ সাবানমুক্ত করে শুকিয়ে নিতে হবে। কারণ, সাবানের ক্ষারযুক্ত শুকনা কড়কড়ে কাপড় শিশুর নরম ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। সেইসঙ্গে শিশুর পরিধেয় পোশাক অবশ্যই নরম ও মসৃণ হতে হবে। শিশুর পোশাক খসখসে ও অমসৃণ হওয়া উচিত নয়। তাদের ত্বকের জন্য সুতির কাপড়ই সবচেয়ে নিরাপদ। শীতকালে গরম কাপড়ের নিচে অবশ্যই একটি সুতি জামা পরাবেন।