আপেল খুবই পরিচিত একটি ফল। বিদেশি ফল হলেও আমরা অনেকেই নিয়মিত খাই এটি। যদিও এটি বিদেশি ফল তবে এটি সহজলভ্য এবং সব ঋতুতেই পাওয়া যায়। এতে রয়েছে উচ্চ মানের ফাইবার, সহজে হজম হওয়ার ক্ষমতা, প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা আমাদের শরীরের জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করে। এছাড়া আপেল ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ম্যাঙ্গানিজ, বায়োটিন এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। হজমশক্তি বাড়ানো ছাড়াও রয়েছে এর অনেক গুণ। চলুন জেনে নেই, আপেল কেন খাবেন-
হজমশক্তি বাড়ায়
আপেলে থাকা পেকটিন নামক উপাদান এক ধরনের ফাইবার যা পাচনতন্ত্রের জিনিসগুলোকে চলতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া হজমের সমস্যা দূর করে। তাই হজম ভালো রাখার জন্য আপনাকে প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া উচিত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
সবুজ আপেলে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যদি কেউ দিনে একটা করে আপেল খান তাহলে দেখা যায়, জটিল বা বয়সজনিত রোগব্যাধি বাদে মোটামুটি সব ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে তার শরীর রক্ষা পায়।
ত্বক উজ্জ্বল করে
আপেলের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। তাছাড়া এতে পানির পরিমাণও বেশি। ফলটির ৫০ থেকে ৬০ শতাংশই পানি। তাই আপেল আমাদের ত্বককে হাইড্রেটেড এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যে কারণে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে ত্বক মুক্ত থাকে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে
ওজন কমাতে খেতে পারেন আপেল। কারণ এই ফলটিতে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার ও পানি। এ উপাদান আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে ও ক্ষুধা লাগবে না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে নিয়মিত আপেল খেতে পারেন।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
যদি প্রতিদিন আপেল খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করবে। এর ফলে কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করে
আপেলে ভিটামিন এ এর পরিমাণ বেশি। তবে লাল আপেলের চেয়ে সবুজ আপেলে ভিটামিন এ এর পরিমাণ বেশি। এটি দৃষ্টিশক্তির উন্নতি, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্রণের ঝুঁকি কমাতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী
সবুজ আপেলে বেশি ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট ও সুগার কম। এটি লো জিআই গ্রুপের ফল ও ক্যালরি তুলনামূলক কম। সুতরাং যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্য সবুজ আপেল উপকারী।