• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রি-ডায়াবেটিস থেকে ফিরিয়ে আনবে ৪টি সুপারফুড


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম
প্রি-ডায়াবেটিস থেকে ফিরিয়ে আনবে ৪টি সুপারফুড

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই এখন এই রোগে আক্রান্ত। ছোট কিংবা বড় যেকোনো বয়সেই এই রোগ শরীরে হানা দিতে পারে। একবার টাইপ ২ ডায়াবেটিস হলে তা থেকে নিরাময় পাওয়া কঠিন। তবে যারা প্রি ডায়াবেটিসে ভুগছেন, অর্থাত্ ডায়াবেটিস বর্ডার লাইনে রয়েছে তারা খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপন বদলে নিলেই প্রতিকার পাবেন।

ডায়াবেটিস হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এটি স্থায়ীভাবে নিরাময় হয় না। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনলেই রক্তে  শর্করা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। যাদের প্রি-ডায়াবেটিস রয়েছে তারা সেই পর্যায় থেকে ফিরে আসতে পারবেন। এর জন্য নির্দিষ্ট খাদ্য তালিকা মানতে হবে। বিশেষ করে খাদ্যতালিকায় ৪টি সুপারফুড যোগ করলেই উপকার পাওয়া যাবে। কারণ এগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। চলুন জেনে নেই, এই ৪টি সুপারফুড কী কী_

করলা

সুগার কমাতে তেতো স্বাদের বিকল্প নেই। তাই করলা হতে পারে সুপারফুড। ব্লাড সুগার বেশি হলে খাদ্যতালিকায় করলা যোগ করুন। এতে পলিপেপটাইড-পি নামের যৌগ রয়েছে। যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। নিয়মিত করলা খান। ব্লাড সুগার দ্রুত কমে যাবে। সম্ভব হলে করলার জুস খেতে পারেন। এটি দ্রুত উপকার দেবে।

টমেটো

ভিটামিস সি যুক্ত সবজি টমেটো। যা খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। টমেটোতে গ্লাইসেমিক সূচক অনেক কম। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে না। এটি লাইকোপেনসমৃদ্ধ। যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিস হওয়ার আগেই কিংবা এর মাত্রা বেশি হলে খাদ্যতালিকায় টমেটো যোগ করুন। তাজা  টমেটো খাবেন। রান্নার পরিবর্তে কাঁচা টমেটো খেলে বেশি উপকার পাবেন। এক্ষেত্রে সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। তৃপ্তিও মিটবে।

বাদাম

খাদ্যতালিকায় বাদাম যুক্ত করুন। এতে গ্লাইসেমিক সূচক কম। বাদাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ এবং এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খেতে পারেন। চিনাবাদাম, কাঠবাদাম কিংবা কাজুবাদাম যেকোনো বাদামেই উপকার পাবেন। এটি ক্ষধা কমিয়ে দেয়, তাই ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রেণ থাকে।

বিনস–জাতীয় খাবার

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকরী হতে পারে বিনস বা বিনস জাতীয় যেকোনো খাবার। শিম, মটর, কলাই, কিডনি বিনস, ডালে ফাইবার থাকে। যা ক্ষুদা নিয়ন্ত্রণ করে । এছাড়াও বিনস হজমপ্রক্রিয়ার গতি কমায়। তাই ভরা পেটে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না।

 

সূত্র: হেলথলাইন

Link copied!