ছোটবেলা থেকেই শিশুরা বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে। জ্বর, ঠান্ডাজনিত রোগ হওয়া যেন নিত্যদিনের ঘটনা। সেই সঙ্গে আরও একটি সমস্যা শিশুদের বেশি হয়। তা হলো কৃমির সমস্যা। কৃমি হলে শিশুদের পেটে ব্যথা, খাবারের অনীহা হয়। কোনো কোনো শিশুর মিষ্টি খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। তখনই বুঝতে হবে শিশুর কৃমি হয়েছে। যা শিশুকে রোগা করে দেয়।
কৃমি হলো ক্ষতিকর পরজীবী। যা শরীরে বাসা বাধে। সাধারণত ফিতা কৃমি, গোল কৃমি কিংবা বক্র কৃমির মতো বিভিন্ন ধরনের কৃমি হতে দেখা যায়। কৃমি হলে তা অন্ত্রে পুষ্টি উপাদানের পরিপাক ও শোষণে বাধার সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে কৃমি অপসারণ জরুরি হয়ে পড়ে। কৃমি কমাতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে যদি প্রাথমিক অবস্থায় থাকে তবে কিছু খাবারের মাধ্যমে কৃমি ধ্বংস করা যাবে। তাই শিশুর কৃমি হলে এসব খাবার খাওয়াতে পারেন।
লবঙ্গ
শিশুর ক্ষুধামান্দ্য ও পেট ব্যথার সমস্যা হলে বুঝতে হবে কৃমি হয়েছে। এক্ষেত্রে এক কাপ পানিতে তিন-চারটি লবঙ্গ ফুটিয়ে সেই পানি সারাদিন অল্প অল্প করে পান করান। এটি কৃমি নষ্ট করে এবং কৃমির ডিমকেও অকেজো করে দেয়।
মধু ও কাঁচা পেঁপে
পেঁপের মধ্যে পরজীবী নাশক গুণ থাকে। আফ্রিকার এক সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, পেঁপের বীজ কৃমি কমাতে পারে। তাই কাঁচা পেপে খেলে শিশুদের কৃমি সমস্যা দূর হবে। এক্ষেত্রে ও কাঁচা পেঁপে একসঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। একগ্লাস হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ কাঁচা পেঁপে কুড়ানো মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। সকালে খালি পেটে এটি খেলে শিশুদের কৃমি কমে যাবে।
রসুন
রসুন খেলেও কৃমি কমে যাবে। রসুন একটি কৃমিনাশক খাবার বলা যায়। কাঁচা রসুনে থাকে অ্যান্থেলমিন্টিক উপাদান। যা পেটের কৃমি মেরে ফেলতে পারে। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেলে কৃমি কমে যাবে। অন্তত একসপ্তাহ এভাবেই রসুন খাওয়া গেলেই উপকার পাওয়া যাবে। যদি কাচা রসুন খাওয়া কষ্ট হয় তবে আধ কাপ পানিতে রসুনের কোয়া সিদ্ধ করে সেই পানি খাওয়াতে পারেন। এক সপ্তাহ খেলেই উপকার পাওয়া যাবে।