ইউরিক অ্যাসিড একবার ধরা পড়লে সহজে এই রোগের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। বিশেষত বয়স্কদের ইউরিক অ্যাসিড নিয়ে ভুগতে দেখা যায়। তবে যেকোনো বয়সেই ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারে। অত্যধিক প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকে। গাঁটের ব্যথা আর যন্ত্রণায় জর্জরিত হতে হয়। এ ব্যথা নিরাময়ে নিয়ম করে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি শরীরচর্চা করাও জরুরি বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। ব্যায়াম করলে ইউরিক অ্যাসিডের যন্ত্রণা থেকে স্বস্তি পাওয়া যায়। কিন্তু গরমে অনেকেরই শরীরচর্চার প্রতি একটা অনীহা তৈরি হয়েছে। অত্যধিক ঘাম আর ক্লান্ত হয়ে পড়ার ভয়ে জিমে যাওয়া তো দূর, বাড়িতে হালকা ব্যায়াম করাতেও অনেকের উৎসাহ নেই। সে ক্ষেত্রে গরমে ইউরিক অ্যাসিডের ব্যথা কমাতে ভরসা হতে পারে কিছু ঘরোয়া পানীয়।
লেবুর রস: গাঁটের ব্যথা দূর করতে লেবুর রসের জুড়ি মেলা ভার। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বিপদসীমা পেরোতে দেয় না। ফলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে লেবুর রসে চুমুক দিতেই পারেন।
আদা চা: আদায় রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। ফলে ইউরিক অ্যাসিডের মতো প্রদাহজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে আদা চায়ে চুমুক দিলে সুফল পাবেন। আদায় রয়েছে এক বিশেষ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ওষুধের মতো কাজ করে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার: ইউরিক অ্যাসিডে ভুগছেন? ব্যথা কমাতে প্রতিদিন সকালে এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার খেতে পারেন। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ওজন কমাতে সাহায্য করে তো বটেই, তবে ইউরিক অ্যাসিড থাকলেও চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন এই পানীয়ে। যন্ত্রণা বশে থাকবে।