শীতে ভোজন রসিক বাঙালি খাওয়া দাওয়া বাড়িয়ে দেন। এ সময় বিয়েসহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। জমিয়ে চলে ভূড়িভোজ। বাছবিচার করে না খেলে রক্তে বেড়ে যায় কোলেস্টেরল। এতে বেড়ে যায় হৃদ্রোগের ঝুঁকি। তাই এমন কিছু খাবার নিয়ম করে খেতে হবে, যেগুলি কোলেস্টেরল বাড়তে দেয় না। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন পানীয় বেশি করে খাবেন?
টোমেটোর রস
টমেটোতে উপস্থিত লাইকোপিন শরীরে লিপিডের মাত্রা বাড়াতে এবং লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এতে নায়াসিন এবং কোলেস্টেরল কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ফাইবারও থাকে। রোজ আধ কাপ করে টোমোটোর রস খেতে পারলে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ওটসের দুধ
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ওটসের দুধ থাকলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ উপকারী ওটস। ওটসের দুধে রয়েছে বিটা গ্লুকোন। তা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এক কাপ ওটসের দুধে ১ দশমিক ৩ গ্রাম বিটা গ্লুকোন থাকে। উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতি দিন অন্তত ৩ গ্রাম করে বিটা গ্লুকোন খাওয়া প্রয়োজন।
গ্রিন টি
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি-তে থাকা ‘ক্যাটাচিন’ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১২ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত গ্রিন টি খেলে শরীরে লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা প্রায় ১৬ শতাংশ কমে যায়।