স্ট্রেচ মার্ক হচ্ছে শরীরের ফাঁটা দাগ। শরীর অস্বাভাবিকভাবে মোটা হলে কিংবা অতিরিক্ত মোটা থেকে ওজন কমে গেলে, সন্তান জন্মের সময় পেটের আকার বেড়ে গেলে ত্বকে ফাটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক দেখা যায়। যা শরীরে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিতে পারে।
যাদের স্থূলতা বেশি তাদের হাতের নিচের অংশে কিংবা পেট বা কোমরের দিকে স্ট্রেচ মার্ক বেশি পড়ে। বিশেষজ্ঞরা জানান, সাধারণ চিকিত্সায় এই দাগ যায় না। এই দাগ দূর করতে বিশেষ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। যার মাধ্যমে স্ট্রেচ মার্ক স্থায়ীভাবে দূর করা সম্ভব।
এন্ডিমেড এমএনআরএফ
স্ট্রেচ মার্ক দূর করাসহ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এমএনআরএফ ট্রিটমেন্ট কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই ট্রিটমেন্ট ত্বককে পুনরায় সঠিকভাবে গঠন করে। ত্বকের রিংকেল কমিয়ে দেয় এবং টানটান ভাব নিয়ে আসে। এই ট্রিটমেন্টে যেকোনও দাগই দূর হয়। তাই স্ট্রেচ মার্ক দূর করার কার্যকরী পদ্ধতি এটি।
আলমা আইপিক্সেল লেসার
স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে লেসার সল্যুশন হতে পারে স্থায়ী সমাধান। এক্ষেত্রে আপনি আইপিক্সেল লেসার ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন। এটি হিলিং প্রসেশকে ত্বরান্বিত করে, স্কিনে নতুন কলাগেন এবং এলাস্টিন ফাইবার তৈরি করে। এই পদ্ধতিতে পুরনো কুঁকড়ে যাওয়া চামড়া এবং তার নিচে ডেড সেলস সরে যায়। এতে স্ট্রেচ মার্ক দূর হয়ে যায়।
পি আর পি
পি আর পি মানে প্লেটলেট রিচ প্লাজমা থেরাপি। যার মাধ্যমে লেসার পদ্ধতিতে প্লেটলেট থেকে ত্বকের সমস্যা দূর করা হয়। নতুন ত্বকের লেয়ার সহজেই জায়গা করে নিতে পারে সেদিকেও নজর দেওয়া হয়। এছাড়াও এটি ত্বকের এলাস্টিন এবং ফ্রেশ কলোগেন নির্মাণে সহায়তা করে। যা ভেতর থেকে স্ট্রেচ মার্ক দূর করে।
উপরের কোনো পদ্ধতি প্রয়োগের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। আপনারস্ট্রেচ মার্কের ধরন বুঝে চিকিতসক উপযুক্ত পদ্ধতির পরামর্শ দিবে।