শিশুদের শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে কতই না চেষ্টা থাকে। একটু অবহেলাতেই শিশুরা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাছাড়া শিশুর পরিপূর্ণ পুষ্টি না পেলে মানসিক ও শারীরিক বিকাশও পূর্ণতা পায় না। যা শিশুর ভবিষ্যতের উপর প্রভাব পড়ে। শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তাই পরিপূর্ণ বিকাশ প্রয়োজন। শিশুর মস্তিষ্কের পূর্ণ বিকাশ সাধনে ছোটবেলা থেকেই মনোযোগী হতে হবে অভিভাবককে। যা শিশুর বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা ও এক্সট্রা অ্যাক্টিভিটিতে সুবিধে হবে।
করোনাকালীন লকডাউনে শিশুর মানসিক ও মস্তিষ্কের বিকাশ সাধনে অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে। পিছিয়ে গেছে শিশুরা। রাগ বেড়েছে, একঘেয়েমিতে একরুখে হয়ে উঠেছে। চিকিৎসকরা জানান, শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের নির্দিষ্ট একটি সময় রয়েছে। সেই বয়স পেড়িয়ে গেলে মস্তিষ্কের বিকাশ স্থগিত হয়ে যায়। যার সময়কাল শুরু হয় ১০ থেকে ১২ বছরে। শেষ সময় থাকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত। শিশুদের মস্তিষ্কের কোষ এর মধ্যেই প্রসারিত হয়। শিশু বয়সে তো বটেই, মস্তিষ্ক বিকাশের এই সময়টা শিশুদের খাবারে বিশেষ নজর দিতে হয়।
ডিম
ডিম শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়ক। বিশেষ করে ডিমের কুসুম। কোলিন সমৃদ্ধ এই খাবারটি মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়। দৈনিক একটি বা দুইটি ডিম খাওয়ানো ভালো।
ওটমিল
ওটমিল ভিটামিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ডায়েটে বয়স্করা ওটমিল খায়। এই খাবার শিশুদের জন্যও ভালো। হাড় মজবুত করে এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়।
পিনাট বাটার
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে পিনাট বাটার। এটি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। শিশুর স্নায়ু তন্ত্রকে সক্রিয় করে। মস্তিষ্কের কোষগুলোর যত্ন নেয়।
সবজি ও ফল
শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে গাজর, কমলালেবু বেশ উপযোগী। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ও প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পাওয়া যায় এসব খাবারে।
আয়রন খাবার
রক্তে অক্সিজেনের বাহক হিসেবে কাজ করে আয়রন। শিশুদের বেড়ে ওঠার সময় আয়রনের অভাব থাকলে নার্ভাস সিস্টেমে প্রভাব ফেলে। তাই শিশুদের খাবারে আয়রন নিশ্চিত করুন।।
ভিটামিন-বি
শিশুর বেড়ে উঠা, মস্তিষ্কের বিকাশে কার্যকর হচ্ছে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স। এতে মোট ৮টি ভিটামিন রয়েছে। যা মস্তিষ্কের নিউরো ট্রান্সমিটার ও শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আয়োডিন ও জিংক
মস্তিষ্ক বিকাশের ক্ষেত্রে আয়োডিনও গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের সংবেদনশীল প্রক্রিয়াগুলোর বিকাশের নেপথ্যে রয়েছে জিংক। তাই খাবারে এসব উপাদান নিশ্চিত করুন। শিশুর বিকাশ পরিপূর্ণ হবে।