বাচ্চাদের মধ্যে একজিমা একটি সাধারণ সমস্যা। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। এই রোগের প্রধান লক্ষণের মধ্যে রয়েছে শিশুর শরীরে র্যাশ ও চুলকানি।
চিকিৎসকরা বলেন , একজিমা বা ডার্মাটাইটিস হলো একশ্রেণির চর্মরোগ, যা সাধারণত ত্বকের প্রদাহের ফলে ঘটে থাকে। এর সর্বাধিক প্রচলিত রূপগুলো অ্যটোপিক ডার্মাটাইটিস, কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস, সিবোরেহিক ডার্মাটাইটিস এবং স্ট্যাসিস ডার্মাটাইটিস হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে এটোপিক ডার্মাটাইটিস বেশির ভাগ শিশুদের প্রভাবিত করে।
এই রোগ কিশোর এবং বয়স্ক ব্যক্তিদেরও হতে পারে। যাদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, হাঁপানি, অন্যান্য অ্যালার্জির মতো লক্ষণগুলো দেখা যায়।
শিশুদের একজিমার লক্ষণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। কখনো তীব্র থাকে, কখনো বা এর লক্ষণ হালকাভাবেই দেখা যায়।
শিশুদের ত্বকে একজিমা লাল বা বাদামি রঙের হয়। এটি শুকনো, ঘন এবং আঁশের মতো হয়ে থাকে। ত্বকের র্যাশগুলোতে প্রচণ্ড চুলকানি হতে পারে। সাধারণত বাচ্চাদের মুখ এবং মাথার ত্বকে এই ধরনের র্যাশ দেখা দেয়। কোনো কোনো শিশুর ক্ষেত্রে কনুই বা হাঁটুর পেছনে এই ধরনের র্যাশ হতে পারে।
বাচ্চাদের মধ্যে একজিমা রোগটি বেশি দেখা যাওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বাচ্চাদের একজিমা হওয়ার কারণগুলো জানাব এই আয়োজনে।
জিনগত কারণ
বাবা-মা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের একজিমা থাকলে বাচ্চাদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
পরিবেশগত কারণ
বাচ্চারা সাধারণত সেনসিটিভ হয়। তারা তাপ, ধোঁয়া, ধুলো, ঠান্ডা, আর্দ্রতা সংস্পর্শে এলে একজিমা সমস্যা দেখা দেয়। তাদের শরীরে র্যাশের তীব্রতা দেখা যেতে পারে।
মানসিক চাপ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং হতাশাজনক উপসর্গগুলো একজিমা ফ্লেয়ার্স–এর সঙ্গে জড়িত। যে কোনো পরিস্থিতিতে মানসিক চাপ বেড়ে গেলে একজিমার প্রবণতা বেড়ে যায়। শিশুদের মধ্যে পড়াশোনা চাপ থাকলে মানসিক চাপ বাড়ে। তখন একজিমা সমস্যা হতে পারে।
অ্যালার্জির সমস্যা
অ্যালার্জির সমস্যা থেকে একজিমা হতে পারে। কিছু খাবার, ক্রিমের রাসায়নিক উপাদান, লোশন, শ্যাম্পু ইত্যাদির মতো জিনিসে অ্যালার্জি থাকলে তা ব্যবহারে একজিমা হতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, একজিমা আক্রান্ত প্রায় ৪০ শতাংশ শিশুরই কোনো খাবার বা অন্য কোনো জিনিসের প্রতি অ্যালার্জি প্রবণতা থাকে।
সূত্র: ফাস্ট বেবি কেয়ার