• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রোজায় পানিশূন্যতা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২২, ০২:০৩ পিএম
রোজায় পানিশূন্যতা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে?

প্রচন্ড গরমের মধ্যে এবার শুরু হয়েছে রমজান। প্রায় ১৪ ঘণ্টা পানাহার থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে আমাদের। ফলে অনেকেরই শরীরে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন। বিশেষ করে বয়স্ক, ডায়াবেটিস রোগী, কিডনী রোগী, রোদে পুড়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তির এই সমস্যা হবার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।

মূলত যখন কোনো ব্যক্তি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অল্প পরিমাণে পানি পান করেন তখন দেহের সমগ্র কার্যক্রিয়া সম্পাদনে পানির ঘাটতি দেখা দেয়, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা। রোজায় এই সমস্যায় আক্রান্ত হবার আশঙ্কা সবথেকে বেশি। অতিরিক্ত গরমে দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার কারণে ঘাম, প্রস্রাব, ও শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রচুর পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়, ফলে দেহ পানিশূন্য হয়ে পড়ে। 

ইফতার থেকে সাহরি, এই সময়ের মধ্যে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের গড়ে ২-২.৫ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ছোট্ট একটি ফর্মুলা হচ্ছে, যার যত ওজন সেই সংখ্যাকে ৩০ দিয়ে ভাগ করে প্রাপ্ত ভাগফলের সমান লিটার পানি কমপক্ষে তাকে এ সময়টুকুর মধ্যে খেতে হবে। তবে এই পরিমাণের চেয়ে কম পানি পান করলে হতে পারে বিপত্তি।

চলুন জেনে নেওয়া যাক রোজায় পানিশূন্যতা মুক্তি পেতে যা করবেন-

  • ইফতার ও সাহরির মধ্যবর্তী সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
  • ইফতারে বেশি বেশি ফল ও ফলের রস খেতে হবে। বেছে নিতে পারেন তরমুজ, বাঙ্গি, মাল্টা, বেল, পেঁপে ইত্যাদি।
  • টকদই ও লাচ্ছি যোগ করতে পারেন ইফতারে।
  • ইফতারে রাখতে পারেন ডাবের পানি ও খাবার স্যালাইন। তবে উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে পটাশিয়াম বেশি থাকলে তা এড়িয়ে চলাই উত্তম।
  • রাতের খাবার ও সাহরিতে বেছে নিতে হবে সহজেই হজম হয় এমন খাবার। অতিরিক্ত তেল ও মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে, কেননা তা পরিপাকে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়।
  • সাহরিতে ২/১ দিন পর পর রাখতে পারেন ডাল দিয়ে লাউ বা চালকুমড়া দিয়ে ঝোল তরকারি।
  • সাহরি ও রাতের খাবারে নিয়মিত পানি সমৃদ্ধ সবজি যেমন চালকুমড়া, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, স্কোয়াশ, শসা, টমেটো রাখুন।
  • সাহরি বা রাতের খাবারে এক বেলা দুধ রাখুন।
  • খরচ কমাতে ডিম ও ডাল রাখতে পারেন।
  • কাজ ছাড়া বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন, বের হলেও রোদ চশমা ও ছাতা ব্যবহার করুন।
  • অনেকেই ইফতারের পর ফ্রিজে রাখা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করেন, এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন।
  • নিয়মিত গোসল করতে হবে। দিনের বেলা রোজায় খারাপ লাগলে চোখেমুখে পানির ঝাপটা দিতে পারেন।
  • যাদের দুধ চা ও কফি পানের অভ্যাস আছে তা বাদ দিতে হবে। কারণ দুধ চা ও কফি আমাদের দেহে পানিশূন্যতার সৃষ্টি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • ডায়রিয়া বা জ্বর বা অতিরিক্ত বমি হলে নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

 

Link copied!