ভাইরাস সংক্রমণে এখন ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশির প্রকোপ বেড়েছে। সেই সঙ্গে হচ্ছে মুখে ঘা। মাড়ি ও দাঁতের গোড়ায়, গালের ভেতরের অংশে ঘা হচ্ছে। যা থেকে খাওয়া-দাওয়াতেও অরুচি চলে আসে। আর শরীর আরও দুর্বল হয়ে যায়।
মুখের ঘা ছড়িয়ে পড়াকেই মাউথ আলসার বলে। এর নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই। ভিটামিনের অভাব, ডিহাইড্রেশন কিংবা কিছু খাবার থেকেও মুখে ঘা হতে পারে। ঘা সারাতে অনেক ওষুধ পাওয়া যায়। এসব ওষুধে অনেক সময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হয়। তাই বাজারের ওষুধ খাওয়ার আগে ঘরোয়া উপায়ে ঘা সারানোর ব্যবস্থা করুন।
হলুদ গুঁড়ো
হলুদ প্রাকৃতিক ওষুধ। হাজারও রোগের সমাধান মিলে হলুদে। যেকোনও ক্ষতই সারিয়ে তুলতে পারে। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়াই করে হলুদ। হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখের ঘায়ে লাগিয়ে নিন দ্রুত নিরাময় হবে।
মধু
মধু দিয়েও মুখের ঘা সারিয়ে নিতে পারেন। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণ রয়েছে। যা ক্ষত সারিয়ে তোলে। মধু লাগিয়ে নিলে মুখের আশেপাশের স্থানেও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে দেয়। ঘায়ের ওপরে প্রতি ২ ঘণ্টা পরপর মধু লাগিয়ে নিন। ভালো ফল পাবেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট রয়েছে অ্যাপল সিডার ভিনেগারে। এটিও দ্রুত ক্ষত সারায়। মুখের ভেতরের জীবাণুগুলোর সঙ্গে লড়াই করে। এক কাপ হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে তা দিয়ে কুলিকুচি করুন। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে কুলিকুচি করলে দ্রুত সেরে উঠবেন।
নারকেল দুধ
নারকেল দুধ মুখের ঘায়ে আরাম দেয়। এটি শীতল এবং প্রশান্তিদায়ক। ক্ষতস্থানের জ্বালাভাব কমায়। প্রতিদিন ৩ বার নারকেল দুধ দিয়ে কুলিকুচি বা গার্গল করে নিন। অন্তত ৫ মিনিট কুলকুচি করুন। আরাম পাবেন।
নারকেল তেল
নারকেল তেল দিয়ে মুখের ঘা সারিয়ে নিতে পারেন। নারকেল তেল আলসার সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তা প্রাকৃতিকভাবে মুখের ঘা দূর করে। রাতে ঘুমনোর আগে মুখের ঘায়ের স্থানে নারকেল তেল লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা কমবে।