• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যায়াম করা যখন মানা


ঝুমকি বসু
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২২, ০৪:৫৪ পিএম
ব্যায়াম করা যখন মানা

সবাই বলছে আপনি মোটা হয়ে যাচ্ছেন? তাই শরীর ফিট রাখতে তাড়াতাড়ি শুরু করে দিলেন ব্যায়াম। কিন্তু ব্যায়াম শুরু করার কয়েক দিন পরেই নানারকম ব্যথায় কাবু। ফলাফল বেড রেস্ট। শরীর ফিট রাখতে গিয়ে নিজে হয়ে গেলেন আনফিট। আমাদের প্রত্যেকের শরীরের ধরন এক নয়। কাজের চাপ, টেনশন, হাঁটু ব্যথা, কোমরে ব্যথা, মুটিয়ে যাওয়ার মতো কোনো না কোনো সমস্যা হয়তো কম-বেশি আমাদের সবারই আছে। কিন্তু হাঁটু ব্যথার জন্য যে ব্যায়াম উপযুক্ত, কোমরে ব্যথার জন্য সেটা উপযুক্ত নাও হতে পারে। তাই শুরু থেকেই হতে হবে সচেতন। হয়তো না জেনেই সকাল-বিকাল হাঁটা শুরু করলেন, তারপর জানতে পারলেন আপনার জন্য হাঁটা একেবারেই ঠিক নয়। ততদিনে আপনার পায়ের যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। একদম হিতে বিপরীত। এটা ভাববেন না, ব্যথায় ভুগছেন বলে কোনো ব্যায়ামই আপনি করতে পারবেন না। ব্যথার সমস্যায় আপনি ব্যায়াম করতেই পারেন। শুধু আপনাকে জানতে হবে আপনার জন্য কোন ব্যায়ামটা উপযুক্ত। নিতে হবে সতর্কতা। মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জেনারেল ফিজিশিয়ান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান দিয়েছেন সেই পরামর্শ।

হাঁটুতে ব্যথা থাকলে 
আমাদের অনেকের মধ্যেই হাঁটু ব্যথার সমস্যা কম-বেশি দেখা যায়। হাঁটু ব্যথা থাকলে এমনিতেই ডাক্তারের নানারকম বাধানিষেধ থাকে। মাটিতে পা ভাঁজ করে বসতে বা বেশি সিঁড়ি ভাঙতে মানা করা হয়। হাঁটুতে ব্যথা থাকলে হাঁটুর ওপর আলাদা করে চাপ পড়ে এমন ব্যায়াম করা ঠিক নয়। তাতে বরং ব্যথা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সিঁড়ি ভাঙা, দৌড়ানো বা এ ধরনের স্টেপ এক্সারসাইজ এড়িয়ে যেতে হবে। হাঁটতে চাইলে নরম জায়গায় হাঁটুন। পার্কে বা বাগানের সবুজ ঘাসের ওপর হাঁটুন। কংক্রিটের রাস্তায় হাঁটলে কোনো উপকার তো হবেই না, উল্টো পায়ের ওপর চাপ পড়বে।

কোমরে বা পিঠে ব্যথার সমস্যায় 
কোমরে বা পিঠে ব্যথা থাকলে ভারি কিছু তোলা যায় না, ঝুঁকে কোনো কাজ করাও ঠিক নয়। তাই কোমর বা পিঠে ব্যথা থাকলে ভারি জিনিস তুলতে হয় এমন ধরনের ব্যায়াম করা যাবে না। অনেক সময় ভুল ব্যায়াম করলে কোমরের হাড় সরে যেতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা থাকলে ব্যায়াম শুরুর আগে অবশ্যই চিকিৎসকের মতামত নিতে হবে।

তলপেটের মেদ কমাতে
আমাদের অনেকেরই চিন্তা তলপেটের মেদ নিয়ে। এই বাড়তি মেদ ঝরানোর জন্য নানারকম কসরত করতেও আমরা পিছপা হই না। কিন্তু তলপেটের মেদ ঝরাতে ব্যায়ামের চাইতেও বেশি প্রয়োজন ঠিকঠাক ডায়েটিং।

সার্জারির পরে 
সিজারিয়ান ডেলিভারি, পিত্তথলির পাথর অপসারণ বা এপেনডিসাইটস ইত্যাদি সার্জারির পর কিছুদিন থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় শরীরকে আগের অবস্থায় আসার জন্য দিতে হয়। এই সময় চিকিৎসকেরা যেকোনো ব্যায়াম করা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে বলেন। তাই এই ধরনের কোনো সার্জারির পর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজ থেকে ব্যায়াম শুরু করবেন না।

ঘাড়ে ব্যথা হলে
ঘাড়ে ব্যথায় ঘাড়ে চাপ পড়তে পারে যে ধরনের ব্যায়ামে, তা না করাই ভালো। শরীরের ওপরের অংশের কোনো পুশ-আপ করার সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। এই সময় ব্যায়াম করতে হলে তা অভিজ্ঞ ট্রেইনারের সাহায্য নিয়ে করা উচিত।

Link copied!