বাচ্চাদের শীতকালীন বিভিন্ন রোগ হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাচ্চাদের শীতকালীন রোগ থেকে রেহাই দিবে খেজুর। প্রতিদিন অন্তত একটি খেজুর বাচ্চাকে খাওয়ালে মিলবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা। সকালে কিংবা বিকেলে যেকোনো সময়ই বাচ্চারা খেজুর খেতে পারবে। খেজুরে থাকা নানা পুষ্টিকর উপাদানে বাচ্চারা অনেক বেশি সুরক্ষিত থাকবে।
খেজুরের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা সবাই জানি। ছোট্ট বাচ্চাদেরকেও মিষ্টি মুখ করতে খেজুর খাওয়ানো হয়। বড় বাচ্চাদের জন্য়ও এটি উপকারী। এটি শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে। সেই সঙ্গে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দিবে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, খেজুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এতে ভিটামিন, আয়রন, ক্যালশিয়াম, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল ও ফাইবারের মতো উপাদান রয়েছে। এসব পুষ্টিকর উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
প্রতিদিন ১০০ গ্রাম খেজুরে খেলে চাহিদা (RDI)-র ১৪ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম, ১৮ শতাংশ কপার, ১৫ শতাংশ ম্যাঙ্গনিজ, ৫ শতাংশ আয়রন, ১২ শতাংশ ভিটামিন বি৬, ক্যালোরি ২৭৭, কার্বস ৭৫ গ্রাম, ফাইবার ৭ গ্রাম, প্রোটিন ২ গ্রাম এবং ২০ শতাংশ পটাশিয়াম থাকে।
শীতের বাচ্চাদের খেজুর খাওয়ালে যেসব উপকারিতা পাওয়া যাবে তা জানাব আজকের আয়োজনে_
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যোন্নতি
নিয়মিত খেজুর খেলে বাচ্চার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়। মস্তিষ্কে ইন্টারল্যুকিন ৬-এর মতো ইনফ্ল্যামেটরি মার্কার কম করতে খেজুর সহায়তা করে। যা বাচ্চার মস্তিষ্ককে আরও সুস্পষ্ট করে।
হাড়ের স্বাস্থ্য
বাচ্চাদের হাড় একটু নাজুক হয়। এই বয়সে বাচ্চাদের ভালো খাবার খাওয়ানো বেশ জরুরি। খেজুর হতে পারে তেমনই এক খাবার। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গনিজ ও সেলেনিয়াম রয়েছে। এগুলো বাচ্চার হাড় মজবুত করে।
রক্তের অভাব দূর করে
অনেক শিশু রক্ত শূন্যতায় ভোগে। তাদের শরীরে রক্তের অভাব দূর করতে নিয়মিত খেজুর খাওয়ান। খেজুর লোহিত রক্তকণিকার স্তর বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি রক্তাল্পতাও দূর করে। এছাড়াও খেজুরে থাকা আয়রন অ্যানিমিয়া রোগীদের সুস্থতায় কাজ করে।
রক্ত পরিশোধন
খেজুরে থাকা ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও সেলেনিয়াম বাচ্চার রক্তকেও পরিশোধন করে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। বাচ্চাদের মস্তিষ্কের সঙ্গে রক্ত সঞ্চালনকেও উন্নত করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
শীতে প্রতিদিন খেজুর খেলে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। খেজুরে থাকা ক্যালশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন, অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
শক্তির সঞ্চার করে
বাচ্চাকে মিষ্টি কিছু খাওয়াতে হলেই খেজুর খাওয়াতে পারেন। খেজুরে গ্লুকোস, ফ্রুক্টোস ও সুক্রোসের মতো প্রাকৃতিক চিনি থাকে। যা শিশুদের শক্তি জোগায়। বাচ্চারা লেখাপড়া নিয়ে অনেক চাপে থাকে। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ালে তাদের আলস্য দূর হয়ে শক্তি বাড়বে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে
নিয়মিত খেজুর খেলে বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হবে। আগের দিন রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখবেন। পর দিন সকালে নরম খেজুর ও ভেজানো পানি পান করালেও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
সূত্র: কিডস হেলথ