• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

প্রচণ্ড কানে ব্যথা করোনার লক্ষণ!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২, ০৪:৪৪ পিএম
প্রচণ্ড কানে ব্যথা করোনার লক্ষণ!

দেশব্যাপী আবারও উর্দ্ধোগতিতে রয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আতঙ্কও বাড়ছে। করোনার সাধারণ লক্ষণে এখন সবাই পরিচিত। কিন্তু করোনার নতুন উপসর্গও সামনে আসছে। কাশি, সর্দি, জ্বর, গলা ব্যথা ছাড়াও অনেকের মধ্যে ক্লান্তি লাগাও করোনার অন্যতম একটি উপসর্গ।

এছাড়াও মাথাব্যথা, গন্ধ এবং স্বাদ হ্রাস, পিঠে ব্যথা এবং পেশী ব্যথার মতো বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায় বলে জানিয়েছে ডাক্তাররা। সম্প্রতি গবেষণা আরও এক উপসর্গের কথা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, করোনা আক্রান্ত নতুন রোগীদের মধ্যে শ্রবণশক্তি হ্রাস বা কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ হওয়ার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এই উপসর্গকে ‘কোভিড ইয়ার’ বলে উল্লেখ করেছেন।

গবেষকরা বলছেন, একাধিক রোগী কানে ভোঁ ভোঁ বা উদ্ভট শব্দের উপলব্ধি হচ্ছে। কারো আবার শ্রবণশক্তিও হ্রাস পাচ্ছে। যা টিনিটাস নামে পরিচিত।

 ‘কোভিড ইয়ার’-এর এই লক্ষণের পেছনের কারণ নিয়েও জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, মানুষের কানের ভেতরের টিস্যু থাকে। সেখানে এমন প্রোটিন থাকে যা SARS-CoV-2 ভাইরাসের সংক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে কানের ভারসাম্য হারায়। টিনিটাসের লক্ষণ দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, করোনাভাইরাস ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়। শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। যা পরে কান, নাক এবং গলাকেও প্রভাবিত করতে পারে। যে কারণে গন্ধ এবং স্বাদ হারিয়ে ফেলেন কোভিডের রোগীরা। সেই সঙ্গে টিনিটাসের কারণে শ্রবণশক্তিও কমে যায়।

টিনিটাস হচ্ছে নাক-কান-গলার বিভিন্ন রোগের সঙ্গে বা আলাদাভাবে কানে ঝিঁঝি পোকার বা স্টিমারের মতো আওয়াজ হওয়া। কানে বাড়তি এই আওয়াজকেই টিনিটাস বলে। যার অর্থ হচ্ছে ঘণ্টার শব্দ।

টিনিটাস শনাক্ত করার যাবে কিছু উপসর্গে। কারো কারো শ্রবণশক্তি একেবারেই কমে যেতে পারে, কারো কানের ভারসাম্য হারিয়ে যায় এবং কানের ব্যথা হতে পারে। এসব লক্ষণ থাকলেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এসবই কোভিডের নতুন লক্ষণ।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরও এই লক্ষণ থেকে যেতে পারে। অন্তত ৭ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। কিছু ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় পর্যন্ত থাকতে পারে। এক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

এই সমস্যা সমাধানের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রচুর পানি পান করতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। সেই সঙ্গে ওষুধের সাহায্যে কাশি কমাতে হবে। এবং গলা ব্যথার চিকিত্সা করাতে হবে।

Link copied!