পায়ে রগ টানের সমস্যা প্রায়ই হয়। শুয়ে থাকলে কিংবা হাটার সময় হঠাত্ পায়ে রগ টান দিতে পারে। হঠাৎই বেঁকে যেতে পারে পায়ের আঙুল। এই সময় প্রচণ্ড ব্যথা হয়। সেই স্থানটিও শক্ত হয়ে যায়। ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করলে সেই স্থানটি স্বাভাবিক হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, পায়ে কিংবা কোমরে রগ টান দেওয়া প্রবণতা তাদেরই বেশি হয়, যাদের শরীর
ডিহাইড্রেড থাকে। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলেই এই উপসর্গ দেখা দেয়। এছাড়াও আরও কয়েকটি কারণে রগ টানের সমস্যা হতে পারে। শরীরে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের ঘাটতি হলে, অতিরিক্ত ব্যায়াম, পরিশ্রম করলে, গর্ভকালীন প্রয়োজনীয় খনিজের অভাব হলে, ঘুমের সময় ভুলভাবে শুয়ে থাকলে, রগ টান হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা রগ টান দিলে বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, পায়ে রগ টান দিলে আক্রান্ত স্থানে ও চারপাশে ম্যাসাজ করলে আরাম পাওয়া যাবে। ম্যাসাজ করলেই পেশী নরম হয়ে আসবে। থাইয়ের পেশীতে টান লাগলে জায়গাটা নরম করে একটি শক্ত কিছুতে ভর দিন। কোমর পর্যন্ত টানটান রাখুন।
এছাড়াও হট ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। বরফ সেঁক দিলেও আরাম পাবেন। প্রথমে হট ব্যাগে ১০ সেকেন্ড সেক দিন। এরপর বরফ সেক দিন আরও ১০ সেকেন্ড। এবার আবারও ১০ সেকেন্ড হট ব্যাগের সেক দিন। ব্যথা কমে আসবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে রগ টানের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। ডাবের পানি ও লেবু-পানিও খাবেন। পটাশিয়ামের সেরা উৎস কলা খেতে পারেন। এটি স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বজায় রাখবে। মিষ্টি আলুতে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে। যা শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামের জোগান দেবে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, শরীরে লবণের ঘাটতি দেখতে ইলেক্টোলাইট পরীক্ষা করা জরুরি। বয়স ৪০-এর কম হলে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে সকালে ১ গ্লাস ও রাতে ১ গ্লাস খাবার স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। ৭ দিন নিয়মিত খাবার স্যালাইন খেলে রগ টানের সমস্যা সেরে উঠবে।