বিগত কয়েক দিনে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। সপ্তাহজুড়েই থাকবে শীতের প্রকোপ। অবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাপমাত্রা নামতে পারে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গ্রাম থেকে শহর, শিশু থেকে বয়স্করা রীতিমত এখন শীতে কাঁপছে। তবে এই শীতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন পরিবারের সবচেয়ে বয়স্ক সদস্য। ঋতুবদলের এই সময়ে বয়স্ক মানুষদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়।
শীতকালে বয়স্ক সদস্যদের সুস্থ থাকতে যা যা করা জরুরি-
নিয়মিত রক্তচাপ মাপা প্রয়োজন
ঋতু পরিবর্তনে রক্তচাপের মাত্রাও পরিবর্তিত হয়। গ্রীষ্মে যেমন রক্তচাপের মাত্রা উপরের দিকে থাকে, শীতে আবার তা কম হতে থাকে। শীতকালে যেহেতু তাপমাত্রা স্বাভাবিক ভাবেই কম থাকে, ফলে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে পড়ে। তাই সারা বছর তো বটেই বিশেষ করে শীতকালে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের রক্তচাপ নিয়মিত মাপা উচিত।
খুব সকালে প্রাতর্ভ্রমণে না যাওয়াই ভালো
বয়স্ক মানুষ সাধারণত শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুতেই সকালে হাঁটতে যান। তবে শীতকালে সকালের দিকে যেহেতু ঠান্ডা বেশি থাকে, তাই খুব সকাল সকাল হাঁটতে না গেলেই ভালো। তবে সকাল ৭ থেকে ৮টার মধ্যে যাওয়া যেতে পারে। বিকালে হাঁটতে গেলে ৩ থেকে ৪টের মধ্যে যেতে পারেন।
শীতের রোদ লাগান শরীরে
একেবারে সকাল সকাল নয়, খানিক বেলা বাড়লে গরম জামাকাপড় এক পাশে সরিয়ে রেখে রোদ পোহানো ভালো। সূর্যের আলোয় থাকা ভিটামিন ডি শরীরকে সুস্থ রাখে। হাড়ের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিও করে, যা প্রবীণদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
শাকসবজির পাশাপাশি শীতকালীন ফল
বয়স বাড়লে শরীরে ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, ফাইবার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়। শীতকালে প্রতিটি বয়সের মানুষেরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বৃদ্ধদের তো আরও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময় বেশি করে সবুজ শাকসবজি ও বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল খাওয়া দরকার।
সবসময় গরম জামাকাপড় ব্যবহার করুন
শীতকালে রাতের তুলনায় দিনে ঠান্ডা কম থাকে বলে অনেকেই গরম অনুভব করে শীতপোশাক খুলে রাখেন। বয়স্কদের ক্ষেত্রে যা একেবারেই ঠিক নয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় যেকোনও মুহূর্তে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে শীতে। তাই খুব ভারী পোশাক না হলেও শীতকালে সব সময়ই বয়স্কদের উচিত একটি শাল বা চাদর দিয়ে কান মাথা ঢেকে রাখা।
সূত্র: আনন্দবাজার