বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নারীদের শরীরে নানা সমস্যা দেখা যায়। বিশেষ করে নারীদের প্রজনন ক্ষমতার উপর প্রভাব পড়ে। এজন্যই নারীদের ওভারিকে বিশেষ যত্নে রাখতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, বয়স বাড়লে ডিম্বাশয় বা ওভারিতে প্রতি মাসে ডিম্বানু তৈরি হওয়ার সংখ্যা কমে যায়। এমনকি ডিম্বানুর মানও কমতে থাকে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, ৩৫ বছরের আগেই সন্তানধারণের চেষ্টা করা উচিত।
ক্যারিয়ার কিংবা নানা ঝামেলায় বিয়ে পিছিয়ে দিচ্ছেন অনেকে। এতে মা হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। ক্যারিয়ার উন্নতি তো হবেই কিন্তু মাতৃত্বের স্বাদও অনেকের কাছেই অধরা থেকে যায়। তাই নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য় ওভারির যত্ন নেওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রতিটা মেয়েই জন্মের সময় থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিম্বানু নিয়ে জন্মায়। মেয়েদের মাসিক বা ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি মাসে একটা করে ডিম্বানু কমতে থাকে। ওভারির বয়স বাড়লে ডিম্বানু সংখ্যাও কমতে থাকে। তাছাড়া খাদ্যাভাসের জন্য় ডিম্বানুর গুণগত মানও কমতে থাকে। পরে কোনো ওষুধেও তেমন কাজ হয় না।
ডিম্বাশয়ের যত্নে নারীদেরকে কিছু কাজে যত্নশীল হতে হবে। এক জায়গায় বসে কাজ দীর্ঘ সময় কাজ করা, শরীরচর্চায় অনীহা, ওজন বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে ডিম্বাশয়ের ক্ষতি হয়। সেই সঙ্গে বাইরের জাঙ্ক ফুড খেলেও পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যা হয় মেয়েদের।
পলিসিস্টিক ওভারি, এখন কম-বেশি সব মেয়েদেরই হয়। তবে এতে সন্তানধারণে সমস্যা হবে তেমন কিন্তু নয়। ৩০ বছরের শুরুতেই সাধারণ নিয়মে গর্ভধারণ করা সম্ভব। এরজন্য় হালকা এক্সারসাইজ এবং পরিমিত ডায়েট করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুধু তাই নয়, পরিবারের কারো যদি সময়ের আগেই মেনোপজ থাকে তাহলেও সাবধান হতে হবে। এছাড়াও অস্ত্রোপচার হলেও ওভারির ক্ষতি হতে পারে।
মেয়েরা কোন সময়ে গিয়ে মেনোপোজে পরবেন তা কেউ তিনি নিজেও জানেন না। কারণ তিনি জানেন না, ঠিক কতগুলো এগ নিয়ে কেউ জন্মাচ্ছেন। এর মধ্যে অনিয়মিত জীবনধারায় ওভারির স্বাস্থ্যও দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ডিম্বাশয়ের যত্ন নেওয়া প্রতিটি নারীর জন্য়ই গুরুত্বপূর্ণ।
সূত্র: উইম্যান হেলথ