রক্তে চর্বিজাতীয় একটি উপাদানের নাম কোলেস্টেরল। এর আছে ভালো-মন্দ দিক। খারাপ কোলেস্টেরল তথা এলডিএল বেড়ে গেলেই রক্তনালিতে রক্তপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। এতে শারীরিক নানা সমস্যার পাশাপাশি তৈরি হয় হৃদরোগের ঝুঁকি। স্বাস্থ্যকর নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি এলডিএল কমাতে পান করতে পারেন এ পানীয়গুলো—
গ্রিন টি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে
এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাশাপাশি আছে ক্যাটাচিন ও এপিগ্যালোক্যাটাচিন গ্যালেটস নামের দুটি উপাদান, যা খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল ও টোটাল কোলেস্টেরল মাত্রা কমায়। ব্ল্যাক টির চেয়ে গ্রিন টিতেই বেশি ক্যাটাচিন পাওয়া যাবে।
কোলেস্টেরল কমাতে টমেটোর জুসের বিকল্প নেই
টমেটো হলো লাইকোপিনের দুর্দান্ত উৎস। এটিও এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা কোষকে রক্ষা করে। মজার বিষয় হলো টমেটো জুস বানানো হলে এতে লাইকোপিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে নায়াসিন ও কোলেস্টেরল কমানোর মতো ফাইবারও আছে। টানা ২ মাস ২৮০ মিলিলিটার করে টমেটোর জুস খাওয়ার পর খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমতে দেখা গেছে।
সয়া দুধ কোলেস্টেরল কমাতে বেশ উপকারী
ক্রিমার বা পূর্ণ ননীযুক্ত দুধ বাদ দিয়ে সয়া দুধ খাওয়ার অভ্যাস করলেও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে কার্যকারিতার জন্য এটি যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগের স্বীকৃতিও পেয়েছে।
কোলেস্টেরল কমাতে খেতে পানে ওট ড্রিংকস
ওটকে ব্লেন্ড করে তৈরি করা হয় ওট মিল্ক। এক কাপ ওট মিল্কে পাওয়া যাবে ১.৩ গ্রাম বিটা গ্লুটন, যা শরীরকে কোলেস্টেরল শোষণে বাধা দেয়।
কোলেস্টেরল কমাতে কোকোয়া পানীয়
ডার্ক চকোলেটের ফ্লেভানলের গুণের কথা তো আগেও শুনেছেন। যারা সরাসরি চকোলেট খান না, তারা বিকল্প হিসেবে কোকোয়া পানীয় তৈরি করে নিতে পারেন। তবে এর জন্য আগে সংগ্রহ করে নিতে হবে উন্নত মানের ডার্ক চকলেট পাউডার।
সূত্র: প্রথম আলো