সম্প্রতি লাখো ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ভারতের জনপ্রিয় গায়ক কেকে। মঞ্চ মাতিয়ে ফেরার পথেই তার আকষ্মিক মৃত্যু হয়। ভক্তসহ হাজারো শুভাকাঙ্ক্ষি কাটিয়ে উঠতে পারেনি সেই শোক। তার মৃত্যু নিয়ে শুরু হয় নানা কথা। কীভাবে এই আকস্মিক মৃত্যু হয় তা জানতে জোরালো দাবি জানান ভক্তরা। পরে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বেরিয়ে আসে, জনপ্রিয় এই সঙ্গীতশিল্পীর হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, কেকের হৃদযন্ত্র প্রায় সাদা হয়ে যায়। হৃদযন্ত্রের ওপর ছিল চর্বির আস্তর। চর্বি জমে থাকার কারণে তার হৃদযন্ত্রের সব ভাল্ভ শক্ত হয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানান, এটি ‘ফ্যাটি হার্ট’-এর অন্যতম উপসর্গ।
‘ফ্যাটি হার্ট’ রোগটি সম্পর্কে অনেকেই অজানা। ফ্যাটি লিভার নিয়ে কম-বেশি সচেতনতা থাকলেও ফ্যাটি হার্ট কী তা অনেকের জানা নেই।
ফ্যাটি হার্ট সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা জানান, এই রোগে হৃদ্যন্ত্রের চারপাশে চর্বির একটি আস্তরণ পড়ে। যা একটু মোটা হয়ে গেলে শরীরের ভেতর প্রদাহ সৃষ্টি হয়। শরীরে নানা ধরণের অস্বস্তিবোধ হতে থাকে। যার ফলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে। হৃদ্যন্ত্রের অন্যান্য রোগও দেখা দেয়।
ফ্যাটি হার্টের কারণ
বিশেষজ্ঞরা জানান, খাওয়া-দাওয়া ও শরীরচর্চা না করার কারণে এমনটা হতে পারে। নিয়মিত ক্যালোরি না ঝরলে তা হার্টের উপর প্রভাব ফেলে। অনিয়মিত জীবনযাপনেই এই রোগ বেশি হয়। নিয়মিত প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলেও হৃদযন্ত্রের ওপর চর্বি জমে যেতে পারে। তাই খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। পর্যাপ্ত ক্যালোরি ঝরাতে হবে।
ফ্যাটি হার্টের উপসর্গ
বিশেষজ্ঞরা জানান, ফ্যাটি হার্টের সমস্যা বোঝার তেমন কোনও উপায় নেই। কারণ এর নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ নেই। এটি হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে। তাই হৃদযন্ত্রের অস্বস্তিবোধই এর অন্যতম উপসর্গ। এক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান করা যেতে পারে। তবে চিকিত্সকরা ফ্যাটি হার্ট রোগটি নির্ণয়ের জন্য় সিটি স্ক্যানের পরামর্শ দেন না। বরং হৃদযন্ত্রের অন্য রোগ শনাক্তে সিটি স্ক্যান দেন। তখনই হৃদযন্ত্রে জমে থাকা চর্বির পরিমাণ বেরিয়ে আসতে পারে। সেই অনুযায়ী চিকিতসা নিতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া