বিশ্বে অন্ধত্বের সংখ্যা বাড়ছেই। বিভিন্ন দেশে অধিকাংশ মানুষই একেবারে অন্ধ বা আংশিক অন্ধত্বের শিকার। অন্ধত্বের চিকিত্সায় কেউ সেরে উঠছেন। কেউ আবার আংশিক অন্ধত্ব নিয়েই কাটিয়ে দিচ্ছেন সারাজীবন। বহু মানুষ মরনোত্তর চক্ষুদান করে যান। মৃত্যুর পর যাতে চোখ দুটি অন্যের দৃষ্টি ফেরার কাজে লাগে, এই ভাবনা থেকেই চক্ষুদান করেন অনেকে। এই অবদানে অনেকে অন্ধত্ব থেকে সেরেও উঠেছেন।
চক্ষুদান করা মহৎ কাজ। তবে মরনোত্তর চক্ষুদানের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। এছাড়াও শারীরিক অবস্থার উপরও চক্ষুদানের বিষয়টি নির্ভর করে। কোন কোন শারীরিক অবস্থায় চক্ষুদান করা যায় এবং কোন শারীরিক পরিস্থিতিতে চক্ষুদান করা যায় না, তা নিয়ে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
যারা চক্ষুদানের ইচ্ছুক, তাদেরকে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, মরনোত্তর চক্ষুদান করার জন্য প্রথমেই আই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কিছু জরুরি নথিপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়।
কারা মরনোত্তর চক্ষুদান করতে পারবেন, আর কারা পারবেন না, এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, যেকোনও বয়স যেকোনও লিঙ্গের মানুষ মরনোত্তর চক্ষুদান করতে পারবেন। অনেকেরই ধারণা, যাদের উচ্চরক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তারা চক্ষুদান করতে পারেন না। এই ধারণা ভুল।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, যাদের হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইডস, রেবিস, কলেরা, লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যানসার এবং কোনোরকম সংক্রামক ব্যাধি যেমন, এনসেফালাইটিস এবং ম্যানিনজাইটিসের মতো অসুখ রয়েছে, তারা চক্ষুদান করতে পারবেন না। এর বাইরে সব বয়সী সবাই চক্ষুদান করতে পারবেন।
চক্ষুদানে মনোস্থ করলে কাছের মানুষদের বিষয়টি জানিয়ে রাখতে হবে। চক্ষুদানের ফর্মে স্বাক্ষর করার সময় দুজন সাক্ষীও রাখা দরকার। এছাড়াও যিনি চক্ষুদান করেছেন, তার মৃত্যুর পর সঙ্গে সঙ্গে আই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
সূত্র: ডেকান ক্রনিক্যাল
