• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

করোনার প্রকোপে শিশুকে জীবাণুমুক্ত রাখবেন কীভাবে?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২২, ১২:৫১ পিএম
করোনার প্রকোপে  শিশুকে  জীবাণুমুক্ত রাখবেন কীভাবে?

শিশুকে সুস্থ রাখতে প্রতিটি বাসা জীবাণু মুক্ত রাখা উচিত। এর মাধ্যমে আপনি শিশুর অতিরিক্ত যত্ন নিতে পারেন। এমনিতেই শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব দুর্বল থাকে। তাই সবসময় উচিত শিশুদের জীবাণু থেকে রক্ষা করা। এটি তাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। নবজাতক ঘরে আসার আগে অবশ্যই উচিত বাড়ি পরিষ্কার বা জীবানুমুক্ত করা। করোনার এই প্রকোপের মধ্যে পরিবারে জন্ম নিচ্ছে নতুন সদস্য। তাই আরও বেশি সচেতন হতে হবে শিশুর সুরক্ষায়।

চলুন জেনে নেয়া যাক শিশুকে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখার কিছু উপায়-

পরিষ্কার হাতে বাচ্চাকে স্পর্শ করুন

বাইরে থেকে এসেই বাচ্চাকে আদর করা যাবে না। আগে ফ্রেশ হয়ে নিন। তারপর বাচ্চার কাছে যান। আর আপনার যদি জ্বর, সর্দিকাশি হয়ে থাকে। বাচ্চাকে দূরে রাখুন এইসমটায়। বাচ্চাদের শরীরে সংক্রমণ খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। তাই সচেতন থেকে দূরত্ব বজাই রাখুন ছোট্ট সোনামনির থেকে।

পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন

খেয়াল রাখুন বাচ্চার খাওয়া দাওয়ার। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে দিন শিশুকে। যাতে তার ইমিউনিটি পাওয়ার ঠিক থাকে। জীবানুর বিরুদ্ধে মোকাবেলা করতে পারে।

বাসা জীবাণুমুক্ত রাখুন

ঘরের মেঝে, রান্নাঘর এবং বাথরুম পরিষ্কার করার জন্য জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন। ছাদ, রান্নাঘর এবং ফ্লোর ম্যাটগুলি পরিষ্কার এবং জীবাণু মুক্ত রাখুন সবসময়। এছাড়া, বেসিন, সিঙ্ক, কলের মাথা, দরজা-জানালার হাতলও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। এসময়টাকে পরিষ্কার থাকা সবার আগে জরুরি।

বাচ্চার খেলনা পরিষ্কার রাখুন

বাচ্চার খেলনা মাঝে মধ্যেই পরিষ্কার করে রাখুন। বাচ্চাদের একটা স্বভাব আছে, তারা যা সামনে পায় আগে মুখে দেয়। তাই বাচ্চার খেলনা সবসময় পরিষ্কার রাখুন।

শিশুর খাওয়ার পাত্র পরিষ্কার রাখুন

বাচ্চার খাওয়ার বাসনপত্র শুধু ধুয়ে রাখলেই হবে না, তা ভালো করে মুছে রাখুন। শুধুমাত্র পানিতে জীবাণু যাবে না। তাই, পরিষ্কার কাপড়ে সেগুলো মুছে নিন। এছাড়া, যে কাপড় দিয়ে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করেন বা যে কাপড় রান্নাঘরের কাজে লাগে, সেগুলি সবসময় পরিষ্কার করে রোদে দিন। সূর্যের আলোতে অনেক জীবাণু মরে যায়।

জুতা বাইরে রাখুন

জুতা ঘরের ভেতরে রাখলে ঘরে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটিরিয়া এবং জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। তাই জুতা বাইরে রাখার অভ্যাস করুন। এমনকি ঘরে অতিথি আসলেও তাদের জুতা বাইরে রাখতে বলুন। আর ঘরে প্রবেশের আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে বলুন।

ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা রাখুন

ঘরের মধ্যে যত বেশি বাযু চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে ততই তা স্বাস্থ্যের জন্য সুফল বয়ে আনবে। শিশুকে খোলামেলা পরিবেশে বাড়তে দিন। শিশু যে পরিবেশে বেড়ে উঠছে সেখানে পর্যপ্ত আলোবাতাস নিশ্চিত করুন।  

রান্নাঘর থাক পরিচ্ছন্ন

অনেকেই রান্নাঘরে সবজির খোসা ছড়িয়ে রাখে। এতে মাছির উপদ্রব বাড়ে। আর তার মাধ্যমে রোগ ছড়ায়। ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার কমাতে কাঁচা মাছ, মাংস কাটার পরপরই জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন। প্রতিদিন আপনার রান্নাঘরের মেঝে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন। আর খেয়াল রাখুন পরিবারের শিশু সন্তান যেন সেসময়টাতে আশেপাশে না থাকে।

বাথরুম হতে সাবধান

বাথরুম হল বাসার মধ্যে জীবাণুতে ভরা একটি জায়গা। তাই বাথরুমের প্রতিটি কোণ পরিষ্কার বা জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন। যখনই বাথরুম ব্যবহার করবেন তখনই বাথরুম স্লিপার ব্যবহার করুন।

ঘরের আসবাব থাকবে ঝকঝকে

আসবাব পরিষ্কার বা ধূলা ঝাড়ার সময় হাতে গ্লাভস ব্যবহার করুন। কারণ গর্ভাবস্থার পরে ত্বক খুব সংবেদনশীল থাকে। তাই, খালি হাতে জিনিস পরিষ্কার করার কারণে জ্বালা হতে পারে। এছাড়া, ভালোভাবে হাত পরিষ্কার না করলে, সেই হাতে শিশুকে কোলে নিলে আপনার হাত থেকে জীবাণু শিশুর শরীরে স্থানান্তরিত হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।

Link copied!