শীত পড়তেই নানা ধরনের সবজিতে ভরে যায় বাজার। তার মধ্যে রয়েছে শিম। এই সময়ে প্রায় সব রান্নাতেই শিম দেয় অনেক বাঙালি। শিম বাটা থেকে শিম সর্ষে ভর্তা, আবার আছে মাছের ঝোল কিংবা পাঁচরকম সবজির মিক্স কোনো রান্না, শিম তারমধ্যে থাকাবেই। অনেকেরই পছন্দের সবজির তালিকায় আছে শিমের নাম। তবে কেবল মুখরোচক বলা যাবে না এই সবজিকে। সুস্বাস্থ্য রক্ষায় শিম বেশ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
শিম, শিমের দানা এবং শিমের পাতাও শাক হিসেবে খাওয়া যায়। শিমের দানাতে রয়েছে উচ্চমানের ফাইবার প্রোটিন, যা শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। তাছাড়া এতে কোনো কোলেস্টেরল নেই। এনার্জি বা শক্তির জন্য শিমে রয়েছে প্রোটিন, উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, আয়রন এবং ক্যালশিয়াম।
ফলে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় শিম রাখলে শরীরে পুষ্টির অভাব দূর হবে খুব সহজেই। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক শিমের উপকারিতা সম্পর্কে-
- রোগের প্রতিকার এবং প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে।
- প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ থাকায় চুল পড়ার সমস্যা বাড়াতে সাহায্য করে শিম।
- রক্তে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে শিম।
- হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমায় শিম।
- খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ায় শিম চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
- অনেকটা ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
- গর্ভবতী মহিলা ও শিশুর অপুষ্টি দূর করতে শিম বেশ উপকারী।
- শিমে সিলিকনজাতীয় উপাদান থাকে যা হাড় সুগঠিত করে।
- কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিম সাহায্য করে।
- নিয়মিত শিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।
- শিমের ফুল রক্ত আমাশয় দূর করতে সাহায্য করে।
- শিমের দানায় ভিটামিন বি সিক্স ভালো পরিমাণে থাকায় তা স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখে ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
- শীতে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক আর প্রাণহীন। একটু যত্নআত্তির ঘাটতি হলেই শীতে ফেটে যায় ত্বক। নিয়মিত শিম খেলে ভালো থাকবে ত্বক। ত্বকের রোগবালাইও দূরে থাকবে।
- এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিমের পুষ্টিগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শুধু বাড়িয়েই দেয় না, রোগকে শরীর থেকে দূরে রাখে। তাই যত দিন শিম পাওয়া যাচ্ছে বাজারে, এটি হোক খাদ্যসঙ্গী।