শিশুদের শ্বাসকষ্ট একটি বড় সমস্যা। যদিও বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে এসেছে। কমে এসেছে শিশু মৃত্যুও। তবে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় এখনও ভুগছেন দেশের অনেক শিশু। গবেষনায় দেখা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের প্রায় দুইতৃতীয়াংশ শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগছেন। এরমধ্যে কেউ কেউ সাধারণ সর্দি-কাশিসহ শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে আসেন। অআবার কোনও শিশুর আরো মারাত্বক কিছু রোগে শ্বাসকষ্ট হয়। যা অবহেলা করলে শিশুর মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
চিকিৎসকরা নিউমোনিয়াকে শ্বাসকষ্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে মনে করে। তবে শিশুদের শ্বাসকষ্টে আরও বেশকিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিস, এজমা, যক্ষা অন্য়তম। শিশুদের হার্ট সঠিকভাবে কাজ না করার কারণেও শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে। শ্বাসকষ্ট থাকলে শিশুদের নিশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। শিশুরা ঘন ঘন শ্বাস নেয়। শ্বাস নিতে গিয়ে শিশুদের বুকের নিচের দিকটা দেবে যায়।
শিশুর শ্বাসকষ্ট থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক সঠিক রোগটি নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা দিলে শিশু ভালো থাকবে।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সাজিয়া ফারাহ নাজ পরামর্শ দিয়েছেন, "যেসব শিশুর অ্যালার্জি বা অ্যাজমাজনিত সমস্যা আছে, সেসব শিশুর ক্ষেত্রে ঘরবাড়ি যতটা সম্ভব ধুলাবালিমুক্ত রাখতে হবে। ঘরে প্রপার ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাসায় সব সময় ইনহেলার বা নেবুলাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এগুলোর সঠিক প্রয়োগবিধি জেনে নিতে হবে। জ্বরের কারণেও শিশুর শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। স্পাউঞ্জিং বা প্যারাসিটামলের মাধ্যমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।"
"আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটি, সেটি নিউমোনিয়া। নিউমোনিয়ার কারণে শিশুর শ্বাসকষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে শিশুর জ্বর থাকতে পারে, তীব্র কাশি থাকতে পারে। শিশু ঘন ঘন শ্বাস নেবে। শিশুর ক্ষেত্রে মাথার তালু দেবে যেতে পারে, বুকের খাঁচা ভেতরে ঢুকে যেতে পারে। এসব ক্ষেত্রে দেরি না করে নিকটস্থ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অথবা হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।"
"অনেক সময় খেলার সময় শিশুর শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সেক্ষেত্রে শ্বাসনালীতে খাবার বা খেলনা ঢুকে গিয়ে শিশুর তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যদি এমন হয় তবে দেরি করার কোনো সুযোগ নেই। নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।"