• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাল আপেল, না সবুজ আপেল?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২, ১০:৫৬ এএম
লাল আপেল, না সবুজ আপেল?

সবুজ আপেল না লাল আপেল কোনটা বেশি প্রিয়? ফল কিনতে গিয়ে লাল আপেলই বেশি কেনা হয়। কিন্তু সবুজ আপেলের পুষ্টিগুণ জানলে অবাক হবেন। লাল আপেলের মতোই এটি শরীরের জন্য উপকারী। ভেজিটেবল সালাদে দুই ধরণের আপেলই দেওয়া হয়। কিন্তু লাল-সবুজ আপেলের মধ্যে বাছাই করতে গেলে কেনা হয় লাল আপেলই। এবার থেকে সবুজ আপেলও কিনে দেখুন। দামেও সাশ্রয়ী হবে। আর পুষ্টিগুণেও হবে ষোলআনা।

অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম সবুজ আপেল চাষ হয়। মারিয়া অ্যান স্মিথ সবুজ আপেলের চাষ শুরু করেন। এরপরই ফ্রান্সের ক্র্যাব আপেল এবং রোম বিউটির হাইব্রিড করে ১৮৬৮ সালে প্রথম সবুজ আপেল উত্পন্ন করা হয়।

সবুজ আপেলের কী কী উপকারিতা রয়েছে তা জানাব আজকের এই আয়োজনে_

  • সবুজ আপেলে ভিটামিন-এ রয়েছে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য যা অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন একটি করে সবুজ আপেল খেয়ে দেখুন। চোখের  দুর্বলতা ও শুষ্কতা দূর হবে। লালের তুলনায় সবুজ আপেলে দ্বিগুণ বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে।
  • সবুজ আপেলে বিভিন্ন রকম ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এটি ত্বকের রং উজ্জ্বল করে এবং ত্বকে তারুণ্য ফিরিয়ে আনে।
  • লাল আপেলেরও অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তবে লাল আপেলের তুলনায় সবুজ আপেলে শর্করার পরিমাণ কম থাকে। সবুজ আপেলে প্রচুর ফাইবার থাকে। টাইপ-টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সবুজ আপেল খুবই উপকারী৷
  • সবুজ আপেলের ফ্ল্যাভোনয়েড ফুসফুস ভালো রাখে। প্রতিদিন একটি সবুজ আপেল হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়। শীতে ফুসফুসের দেখভাল করে সবুজ আপেল।
  • যাদের পেটের সমস্যা আছে তারা সবুজ আপেল খেতে পারেন। সবুজ আপেলে প্রচুর ফাইবার থাকে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ পেটের অন্য সমস্যা থেকেও রেহাই মেলে।
  • সবুজ আপেলের যৌগ পেক্টিন পেটে উপকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে সাহায্য করে। নিয়মিত সবুজ আপেল খেলে পরিপাক ক্রিয়া ঠিক থাকে। 
  • সবুজ আপেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। যা হাড় শক্ত করে। নিয়মিত সবুজ আপেল খেলে হাড় ও দাঁত মজবুত হবে।
  • লাল আপেলে সবুজের থেকে অনেক বেশি পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। তবে সবুজ আপেল শরীরের ভেতর থেকে দূষিত পদার্থ ও ক্ষতিকর উপাদান ‍দূর করে। সেইসঙ্গে এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শরীরে ডিটক্সিফাইং এনজাইমগুলোর কার্যকারিতা বাড়ায়।
Link copied!