অধিকাংশ নারীই এখন পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (পিসিওএস) সমস্যায় ভুগছেন। নারীদের হরমোনাল একটি সমস্যা হচ্ছে পিসিওএস। এটি অনিয়মিত মাসিক চক্র সৃষ্টি করে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, পিসিওএস হলো এমন একটি অবস্থা যা মাসিক ডিম্বস্ফোটনের অভাব এবং অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে হয়। যার ফলে অনিয়মিত মাসিক চক্র হয় এবং পুরুষ হরমোন বেড়ে যায়।
বেশিরভাগ পিসিওএস নারীই অতিরিক্ত ওজন বা স্থূল থাকে। তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। পিসিওএস-সম্পর্কিত হরমোনের অস্বাভাবিকতা, ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রদাহ নারীদের জন্য ওজন কমানো কঠিন করে তোলে।
ওজন কমলে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা, হরমোনের মাত্রা, নিয়মিত মাসিক চক্র অনেককিছুই ঠিক হয়ে যাবে। এরজন্য় প্রয়োজন একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট চার্ট। যা পিসিওএস সমস্যায় ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
আঁশযুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়ান
ডায়েট চার্টে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, প্রদাহ কমাতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে গোটা শস্য, লেবু এবং মসুর ডাল, বীজ, ফল এবং সবজি। উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার পিসিওএস-এ আক্রান্ত নারীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
চর্বিহীন প্রোটিন
চর্বিহীন প্রোটিন খাবার খেতে হবে। প্রোটিন খাবার রক্তে শর্করার স্থিতিশীলতায় সহায়তা করে। এটি ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ক্যালোরি বেশি পোড়ায়। ক্ষুধার হরমোন নিয়ন্ত্রণের ফলে ওজন কমে। এক্ষেত্রে উচ্চ-প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম, বাদাম এবং সামুদ্রিক খাবার ডায়েট চার্টে যোগ করতে পারেন।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার প্রদাহ কমায়। ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। তাজা ফল এবং শাকসবজি, বাদামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি পাওয়া যাবে।
পরিশোধিত শর্করা-স্যাচুরেটেড ফ্যাট
পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, খাবারের প্যাকেজ, পরিশোধিত ফলের রস, সোডাযুক্ত পানীয় এবং আইসক্রিম এড়িয়ে চলুন। ইনসুলিনের মাত্রায় কার্বোহাইড্রেটের প্রভাব পড়ে। নারীরা কম-গ্লাইসেমিক ডায়েট থেকে উপকৃত হতে পারেন। মাংস এবং মাটনে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এছাড়াও বেকারি আইটেম, অত্যধিক তেল বা ঘি, ফাস্ট ফুড আইটেম খাওয়াও এড়ানো চলতে হবে।
দুগ্ধজাত খাবার
দুগ্ধজাত খাবার কমাতে হবে। এতে পিসিওএস-এ আক্রান্ত নারীদের ওজন কমবে। অনেক নারীর ক্ষেত্রে দুগ্ধজাত খাবার কমালে অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
সূত্র: হেলফ লাইন