মানব দেহের সাধারণ একটি রোগ ইউরিন ইনফেকশন। কমবেশি সব নারী-পুরুষেরই রয়েছে এই রোগ। এই রোগের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি অন্য রোগের প্রতি নির্দেশনা দেয়। মানে ইউরিন ইনফেকশন থাকলে ধরে নিতে হবে টাইপ টু ডায়াবেটিস, ব্লাড সুগার কিংবা কিডনির সমস্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরেনাল পেইন থেকেই ইনফেকশনের রূপ নেয়। জীবনযাত্রায় অনিয়মের কারণে ইউরেনাল পেইন হয়। এরপরই ধীরে ধীরে ইনফেকশন চড়াও হয়ে উঠে। তাই অল্পতেই এই ইনফেকশন রোধে সতর্ক হতে হবে।
সাধারণত প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বা লালচে হলে, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, একটু পর পর প্রস্রাবের বেগ হলে, প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা ব্যথা করা, তলপেটে বা পিঠের নিচের দিকে তীব্র ব্যথা হওয়া, জ্বর জ্বর ভাব, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা, বমি ভাব বা বমি হওয়া হচ্ছে ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ।
ইউরিন ইনফেকশন রোধে যা যা করতে হবে তা নিয়ে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে_
- যাদের ইউরিন ইনফেকশন রয়েছে তাদের জন্য বাটার মিল্ক উপকারি হতে পারে। সারাদিনে অন্তত একবার বাটার মিল্ক খাবেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
- বাড়ির বাইরে গেলে অনেকেই বাথরুম আটকে রাখেন। এটিও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বাথরুম বেশিক্ষণ আটকে থাকলে রাখলেই ইনফেকশন বাড়ে। প্রয়োজনে সঙ্গে স্যাভলন অথবা পি সেফ রাখুন। বাইরে বাথরুম সেরে নিয়ে তা দিয়ে নিজেকে স্যানিটাইজ করে নিন। তবুও বাথরুম আটকে রাখা যাবে না। কারণ শরীরের অপর্যাপ্ত লবণ, টক্সিন না বের হলে সমস্যা বাড়বে।
- নারীদের ঋতুস্রাব হলে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। পরিষ্কার নতুন ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে। এক ন্যাপকিন বেশিসময় ধরে রাখা যাবে না।
- অনেকের পানি পানে অনিহা থাকে। ইউরিন ইনফেকশন বাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ এটি। পানি কম খেলে ইউরেনাল জ্বালাপোড়া বাড়ে। এতে ইনফেকশন চড়াও হয়। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করতেই হবে।
- প্রয়োজনে কিছু ব্যায়াম করুন। যোগাসান বা নিয়মিত হাটাহাটি করুন। শরীর সক্রিয় থাকবে। এতে ইনফেকশন হবে না।
- ইউরিন ইনফেকশনের উপসর্গ দেখা দিলেই মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিন সঙ্গে সঙ্গেই। কারণ এতে কৃমির উপদ্রব বাড়ে। যার ফলে ইনফেকশন আরও চড়াও হয়ে উঠে।