সুস্থ থাকতে কে না চায়। আজীবন যদি শরীরের গতি একই নিয়মে চলতো! তবে কিন্তু বেশ হতো। সবসময় তরুণ থাকা যেত, ভাবুন তো কেমন হতো! কোনো রোগই শরীরকে ঘিরে ধরতে পারতো না। সবসময় ফুরফুরে থাকা যেত। বয়সের সংখ্যায় হয়তো নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নেই, কিন্তু শরীরের গতি ঠিক রাখতে তো নিয়ন্ত্রণ আছেই। জীবনযাত্রার প্রতিদিনের অভ্যাসে নিয়ন্ত্রণ থাকলেই অনেকটাই সুস্থ থাকতে পারবেন।
ভারতের কার্ডিয়াক সার্জন বিশেষজ্ঞ দেবী প্রসাদ শেঠিও আজীবন সুস্থ থাকার কিছু টিপস দিয়েছেন। তার মতে, আজীবন সুস্থ থাকতে মানুষকে কিছু নিয়মের মধ্যেই চলতে হবে। কিছু অভ্যাস রপ্ত করতে হবে আর কিছু অভ্যাস করতে হবে পরিত্যাগ।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে ৪ গ্লাস পানি পান করুন। এরপর বাথরুমে যান এবং এসে আবারও এক গ্লাস পানি পান করুন। সারাদিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস বাড়তি পানি পান করুন। এটি হাইড্রোথেরাপি বা জলচিকিত্সা। এই চিকিত্সায় প্রায় ৩৬ ধরণের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। শরীর সুস্থ থাকবে।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে দুধ ছাড়া খুব হালকা এক কাপ চা পান করুন। চা কখনোই অতিরিক্ত গরম খাবেন না। আপনার ওজন বেশি হলে চিনি খাবেন না। এটি আড়াই হাজার বছর আগের একটি চাইনিজ হারবাল মেডিসিন। চায়ে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার রোধে কাজ করে। তবে এক্ষেত্রে প্রক্রিয়াজাত হয়নি এমন চা খাওয়া অপেক্ষাকৃত ভালো।
- ভিটামিন সি হচ্ছে খাবারের বৈপ্লবিক প্রাণ। এর গুণাগুণ অনেক। দৈনিক এক হাজার মিলিগ্রাম ভিটামিন খেলে মানুষ চির তরুণ থাকে। ভিটামিন সি যুক্ত তাজা ফলমূল প্রতিদিন খেতে হবে। এটি ক্যান্সারও রোধ করে। আমলকি, লেবু, টমেটো, কমলা, পেয়ারা এবং যেকোনো ধরণের টক ফলে ভিটামিন সি থাকে।
- ধূমপানসহ সব ধরণের নেশাজাতীয় অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
- রেডমিট খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়ার মাংস যতটা সম্ভব কম খেতে হবে। প্রয়োজনে একদমই না খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- ফার্মের মুরগির মাংস না খাওয়াই ভালো। চর্বিহীন বাচ্চা মুরগির মাংস খেতে হবে।
- আধা- সেদ্ধ শাক সবজি ও তরকারি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। ভাত বা রুটি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।
- ভাজা খাবার একদমই খাবেন না। অতিরিক্ত তেল, চর্বি, ঘি, মাখনযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
- রান্নায় বেশি মসলা ব্যবহার করবেন না। মসলার ভেষজ গুণ পেতে পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করতে পারেন।
- লেটুস পাতা, পুদিনা পাতা, টমেটোর সালাদ বানিয়ে খাবেন প্রতিদিন।
- সকালে খালি পেটে এক চামচ মধু খেতে পারেন।
- সামুদ্রিক মাছ মহাঔষধ। খাবারের তালিকায় বেশি করে সামুদ্রিক মাছ রাখুন।
- মাছের কাটা বা মাংসের হাড় চিবিয়ে খাবেন না। এতে পাকস্থলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- সূর্যমুখী ফুলের বীজ হচ্ছে হার্টের ভেষজ ওষুধ। রান্নায় সূর্যমূখী তেল ব্যবহার করুন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও টকদই খাওয়ার অভ্যাস করুন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান টাইমস্