প্রচলিত নাম টাকপোকা। এই রোগে শরীরের একটি অংশে অথবা সকল এলাকা জুড়ে চুল পড়া সমস্যা হয়। পরে তা সমগ্র মাথা জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মাথার নির্দিষ্ট জায়গায় কয়েনের মাপে টাক পড়ে যায়। চিকিৎসার ভাষায় একে অ্যালোপেশিয়া বলে। স্ক্যাল্পে বা দাড়িতেও হতে পারে অ্যালোপেশিয়া । নারী-পুরুষ উভয় এ রোগে আক্রান্ত হয়।
এই ধরনের অসুখ সারাতে দীর্ঘদিনের ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন। এক-দেড় বছর অবধি সময় লাগে সম্পূর্ণ সারতে। কিন্তু বিশেষ কয়েকটি অসুখ থাকলে, যেমন লাইকেন প্লেনোপাইলেরিস হলে অ্যালোপেশিয়া ফিরে আসে। অ্যালোপেশিয়া নানা ধরনের হয়-
- হরমোনাল বা অ্যান্ড্রোজেনেটিক
- অ্যালোপেশিয়া এরিয়াটা
- অ্যালোপেশিয়া টোটালিস
- অ্যালোপেশিয়া ইউনিভার্সালিস
অ্যালোপেশিয়া বেশ কয়েকটি কারণে হয়ে থাকে-
- বংশগত
- পুষ্টির অভাব
- অ্যালার্জির কারণে
- ট্রিকাটিলো ম্যানিয়া (অনেকে নিজেই নিজের মাথা থেকে চুল টেনে ছেঁড়ে)
- সেকেন্ডারি ডিসিজের কারণে(যেমন – অ্যামাইলোডোসিস, লাইকেনো প্লেনোপাইরেসিস)
- কোনও ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় (যেমন – কেমোথেরাপি বা হাইপারটেনশনের ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে খেলে অ্যালোপেশিয়া আসতে পারে।)
প্রথম থেকেই যেভাবে বুঝবেন অ্যালোপেশিয়া হয়েছে-
- মাথায় কোনও একটি জায়গা বা কয়েকটি জায়গা থেকে কয়েনের মতো গোলাকার হয়ে চুল উঠে যাওয়া।
- এক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে সারা মাথা থেকে চুল ওঠা বেড়ে যায় না। কোনও একটা জায়গাই ফাঁকা হয়ে যায়।
- এই গোলাকার ফাঁকা অংশ মাথার সামনে কিংবা দু’পাশে কিংবা ভ্রূ-তে অথবা শরীরের অন্য কোনও স্থানে দেখা যেতে পারে।