• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অসুখ ঠেকাতে দারুণ ‘নীল চা‍‍’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২২, ০৯:৪৫ পিএম
অসুখ ঠেকাতে দারুণ ‘নীল চা‍‍’

প্রকৃতিতে দুর্লভ প্রজাতির দ্বৈত পাপড়ির অপরাজিতা ফুল। ফুলটি গাঢ় নীল রঙের। নিচের দিকটা সাদা। কখনো বা একটু হলদে আভা যুক্ত হয়। নীল রঙা এই অপরাজিতার পরশে মনে প্রশান্তি মিলে। সেই প্রশান্তি যদি শরীরেও পাওয়া যায়, তবে কিন্তু মন্দ হয় না। বরং স্বাস্থ্যের উপকার মিলবে। কিন্তু কীভাবে?

হ্যাঁ, নীল অপরাজিতা দিয়েই বানিয়ে নেওয়া যাবে নীল চা। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের গুণে ভরপুর অপরাজিতা ফুল। এই ফুলেই তৈরি হবে নীল চা। যার ঊষ্ণ চুমুকে শরীর পাবে সতেজতা। এর স্বাদটাও হয় বেশ কড়া।

নীল চা হলো একটি ক্যাফিন-মুক্ত ভেষজ মিশ্রণ। ক্লিটোরিয়া টারনেটিয়া উদ্ভিদের শুকনো বা তাজা পাতা দিয়ে তৈরি করা হয় এটি। ফুলের পাপড়ির গভীর নীল রঙ ঐতিহ্যগতভাবে রঞ্জক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, অপরাজিতা ফুলের তৈরি এই নীল চা পানে ঠান্ডাজনিত সমস্যা কমবে। ভালো থাকবে লিভার আর ডায়াবেটিসের রোগীরা। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়বে। ত্বক ও চুলের যত্নেও এটি উপকারি। মানসিক প্রশান্তিও পাওয়া যাবে এই চা পানে। হতাশা, ডিমেনশিয়া রোগের নিরাময় হতে পারে দারুন রঙের এই চা।

সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে অন্তত এক কাপ নীল চা পান করে নিতে পারেন। নিমিষেই দূর হবে এই ক্লান্তি। কিন্তু কীভাবে বানাবেন এই নীল চা। এই চা বানানোর প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ। চলুন জেনে নেই উপকারি এই নীল চা বানানোর পুরো প্রক্রিয়াটি_

নীল চা বানাতে যা লাগবে_

  • শুকনো নীল অপরাজিতা ফুলের পাপড়ি- ৪-৫টি
  • মধু পছন্দমতো
  • লেবুর রস- সামান্য
  • লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ- ১টি করে
  • পানি- পরিমাণমতো

নীল চা যেভাবে বানাবেন_

প্রথমে চুলায় পানি গরম করে নিন। এতে লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচ দিয়ে জ্বাল দিয়ে নিন। এবার শুকনো নীল অপরাজিতা ফুলের পাপড়িগুলো গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ৫ মিনিট পর এতে নীল রং হবে। একটু কড়া স্বাদ পেতে বেশি সময় ভিজিয়ে রাখুন। এবার একটি কাপে ঢেলে নিন। এবার এতে স্বাদের জন্য লেবু এবং মধু যোগ করে নিতে পারেন। আবার চাইলে মধু ছাড়াও পান করা যাবে এই চা।

নীল চা পানের উপকারিতা_

  • নীল চায়ে ক্যাটেচিন থাকে। যা পেটের চর্বি বার্ন করে। তাই ওজন দ্রুত কমে যায়।
  • নীল চা পান করলে পরিপাকতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত হয়।
  • নীল চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা ডিটক্স ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। এতে থাকা  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল অ্যাকশন থেকে রক্ষা করে।
  • নীল চায়ে রয়েছে অ্যান্টি-গ্লাইকেশন। এর প্রভাবে ত্বকের অকাল বার্ধক্য দূর হয়। এতে থাকা  ফ্ল্যাভোনয়েডগুলো কোলাজেন উত্পাদনকেও উদ্দীপিত করে।
  • নীল চা মানসিক স্ট্রেস কমায়। এতে উদ্বেগের লক্ষণগুলো কমে।
  • নীল চা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরকে সুস্থ রাখে।

 

সূত্র: দ্য ওয়াল

Link copied!