টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। মাঝেমাধ্যেই আকর্ষণীয় পোশাকে ক্যামেরায় ধরা দেন এই অভিনেত্রী। লাস্যময়ী সৌন্দর্য দিয়ে কোটি ভক্তের হৃদয়ে আছেন পশ্চিমবঙ্গের সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী। তবে এবার নিজেকে আরও বেশি ফিট রাখতে মাছ-মাংস তথা আমিষ ছেড়ে পুরোপুরি নিরামিষভোজী হতে চান নায়িকা। ইতিমধ্যে তিনি নিরামিষ খাওয়া শুরু করেছেন। স্বাস্থ্যের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তিনি এই চর্চা চালিয়ে যাবেন।
কিন্তু ভিগান হওয়ার কথা কেন ভাবছেন অভিনেত্রী? জবাবে মিমি বলেন, “আমার নিরামিষ খেতে খুবই ভালো লাগে। ছোটবেলায় জৈন ছাত্রাবাসে ছিলাম। তখন থেকেই নিরামিষ খাওয়ার অভ্যাস। যখন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার করেছিলাম, দুই মাস নিরামিষই খেয়েছিলাম। তাতে আমার শরীরও ভালো ছিল।”
এ প্রসঙ্গে মিমি জানান, অভিনয় পেশার সঙ্গে যুক্ত বলেই, নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলতে হয় তাকে। যাতে ডায়েটে যথেষ্ট প্রোটিন থাকে, সেটা খেয়াল রাখতে হয়। এছাড়া পরিবারের সদস্যরাও আমিষের চর্চা করিয়ে ফেলেন ছোটবেলা থেকে।
মিমির ভাষ্য, “সম্প্রতি আমি ওটিটি-তে ‘হোয়াট দ্য হেলথ’ দেখছিলাম। সেখানে কীভাবে পশুদের যন্ত্রের মতো ব্যবহার করে মানুষরা, সে বিষয়টা উঠে এসেছে। সেটা দেখার পর মনে হলো, যদিও ভেগান হওয়া বেশ কঠিন, তবু চেষ্টা শুরু করতে পারি।’’
ইতোমধ্যে মাছ, মাংস, ডিম ও চিজ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন মিমি। প্রতিদিনকার খাবারে তিনি এখন নিরামিষ আইটেম রাখছেন। যেমন মাখনের বদলে পিনাট বাটার খাচ্ছেন। আমন্ড মিল্ক খাচ্ছেন। পনিরের বদলে টোফু খাচ্ছেন। মাছ-মাংস-ডিমের পরিবর্তে কিনোয়া-ছাতুর মতো খাবার খাচ্ছেন।
মিমি মন খুলেই বললেন, “আমি এখনই দাবি করছি না, সারা জীবনের জন্য ভেগান ডায়েট অনুসরণ করব। আপাতত কিছুদিন এই ডায়েট মেনে চলতে চাই। প্রথম তিন দিন বিষয়টা উপভোগ করেছি। এরপর সম্ভব হলে সময়সীমা বাড়াব। যদি দেখি, আমার শরীরের সঙ্গে বিষয়টা মানানসই, তা হলে সারা জীবনের জন্যই ভেগান ডায়েট বেছে নিতে পারি।”
বলিউডের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী ভিগান হয়ে গেছেন। এর মধ্যে আছেন আলিয়া ভাট, শ্রদ্ধা কাপুর, ভূমি পেডনেকর, সোনাক্ষী সিনহা, আনুশকা শর্মা, শিল্পা শেঠি প্রমুখ।