বলিউডের জনপ্রিয় গায় অরিজিৎ সিং। আজ ৩৫-এ পা দিলেন এই জনপ্রিয় সংগীতকার। ২০০৫ সালে `ফেম গুরুকুল`-এর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে অরিজিৎ সিং-এর। যার কন্ঠস্বরে মোহিত গোটা বিশ্ব। যাকে ছাড়া বর্তমান বলিউড প্লেব্যাকের কথা ভাবাই যায় না। সঞ্জয় লীলা বনশালির সিনেমার মাধ্যমেই বলিউডে অভিষেক হয়েছিল অরিজিত সিংয়ের। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি আশিকি টু- ছবির সেই জনপ্রিয় গান `তুম হি হো`-রাতারাতি সুপারস্টার করে দিয়েছিল অরিজিৎ সিং-কে। আজ তিনি বলিউড সংগীতের বে-তাজ বাদশা। তবে তাকে ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই।
দীর্ঘ এত বছরের মিউজিক্যাল কেরিয়ারে শাহরুখ খান, আমির খান, অক্ষয় কুমার সমস্ত তারকাদের হয়েই প্লে-ব্যাক করেছেন অরিজিৎ সিং। শুধু এখনও পর্যন্ত সলমন খানের হয়েই কোনও গান গাওয়া হয়নি তার। কিন্তু কেন?
জানা যায়, ২০১৪ সালে স্টার গিল্ড অ্যাওয়ার্ডের সঞ্চালক ছিলেন সালমান খান ও রীতেশ দেশমুখ। সেরা গায়কের পুরস্কার ঘোষণার পর মঞ্চে আসতে অনেকটাই দেরি করেন আরজিৎ সিং। কারণ দর্শকের আসনে বসে খানিকটা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন অরিজিৎ সিং। তারপর সেই ঘুম চোখ নিয়ে মঞ্চে উঠবার পর সালমান তার নিজস্ব স্টাইলে প্রশ্ন করেছিলেন, `ঘুমিয়ে পড়েছিলে?` তার জবাবে অরিজিৎ সিং বলে বসেন, ‘কী করব? আপনারা তো ঘুম পাড়িয়ে দিলেন?’
তবে সলমনের সঞ্চালনা নিয়ে এমন প্রশ্ন তোলা এটাই মোটেই স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেননি সালমান খান। আরজিতের উত্তরে পাল্টা বলেছিলেন, ‘এইরকম গান গাইলে তো লোকে ঘুমিয়ে পড়বেই।’
ব্যস, সেই থেকেই ঝামেলার শুরু। কথাবার্তা বন্ধ! বন্ধ দেখা সাক্ষাত! এই পরিস্থিতি বদলাতে ২০১৬ সালে সামাজিক যোগামাধ্যম ফেসবুকে খোলা চিঠি দিয়ে সালমানের কাছে ক্ষমা চান অরিজিৎ সিং। এমনকী তিনি এও জানান, ফোনে ম্যাসেজের মাধ্যমে অনেকবার সালমান খানের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যর্থ হওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।
তিনি এও লেখেন, ‘আপনি যদি ভাবেন আমি আপনাকে সেদিন অপমান করার জন্য অ্যাওয়ার্ড ফাংশনে ওইরকম কথা বলেছি সেটা পুরোপুরি ভুল। আপনাকে অপমান করার জন্য কিছু করিনি। তবুও আপনি যদি অপমানিত বোধ করেন, তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিন।’
অরিজিৎ সিং সালমান খানকে অনুরোধ করেন, তার গান যেন সালমানের সিনেমা সুলতান থেকে বার করে না দেন। কিন্তু সালমান তাকে কান দেননি। তিনি আরজিৎ সিংয়ের গাওয়া গানটি নতুন করে গায়ক রাহাত ফতেহ আলি খানকে দিয়ে রেকর্ড করানো হয়েছিল। এছাড়া টাইগার জিন্দা হ্যায় ছবির গানও গেয়েছিলেন অরিজিৎ তবে তা সলমনের নির্দেশেই বাদ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে। তবে সবসময় বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছেন সালমান খান। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছবির মিউজিকের বিষয়ে মিউজিক ডিরেক্টরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, সেখানে তার কোনও ভূমিকা নেই।