রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে দুপুর ২টায় জামিন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে মাদক মামলায় পরীমনির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
পরীমনির জামিনের পেছনে তিন কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত তিনি নারী, দ্বিতীয়ত অসুস্থতা এবং তৃতীয়ত তিনি একজন অভিনেত্রী। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পরীমনি বেশ কয়েকটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। সেই ছবিগুলোর প্রযোজকরা যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হন সেই দিকটাও বিবেচনা করেছেন আদালত।
এর আগে ১৯ আগস্ট পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম। গত ১০ আগস্ট পরীমনি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। তার আগে ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।
মাদক মামলায় গত ১৩ আগস্ট পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। কারা সূত্র জানায়, পরীমণিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে (রজনীগন্ধা ভবন) রাখা হয়।
গত ৪ আগস্ট পরীমনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে র্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বনানী থানায় মামলা করেন।
মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়, পরীমনির বাসা থেকে ক্রিস্টাল মেথ, এলএসডি ও বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, পরীমনি চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের কাছ থেকে মাদক সংগ্রহ করতেন।